পিরোজপুর প্রতিনিধি :
বিয়ের ৩ মাস পরে স্বামী ও শ্বশুরের নামে ধর্ষণের মামলা দিয়েছে তামান্না নামে এক গৃহবধূর মা হাজেরা বেগম।
ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮নং দক্ষিণ ভবানীপুর ওয়ার্ডের গাজী বাড়িতে।
রবিবার (১৬ মার্চ) দিনব্যাপী নানা নাটকীয়তা শেষে সন্ধার পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলাটি এজাহারভুক্ত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন থানা অফিসার ইনচার্জ মো: মারুফ হোসেন। যাহার মামলা নং জি আর ১৪/২৫
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ ভবানীপুর ওয়ার্ডের দুলাল গাজীর পুত্র হৃদয় গাজী (২১) এর সাথে একই গ্রামের ইসাহাক তালুকদারের মেয়ে তামান্না আক্তার (১৫ ) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তামান্নার বাড়িতে হৃদয় রাজমিস্ত্রির কাজ করার সুবাদে ওই সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্কের একপর্যায়ে চন্ডিপুর এলাকার বিবাহ রেজিস্ট্রার কাজীর মাধ্যমে ২২/০১/২৫ইং তারিখে বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং তারা পরবর্তীতে কোর্ট এফিডেফিট করেন।
তামান্না ও তার পরিবার লোভী প্রকৃতির হওয়ায় এবং স্বামী হৃদয় গাজী গরীব হওয়ায় পার্শ্ববর্তী বশিরের ছেলে মোরছালিনের সঙ্গে তামান্না পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে তামান্না ও তার পরিবার দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদেরকে এহেন কর্ম থেকে ফিরে আসার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তামান্না ও তার মা হাজেরা বেগম ঘটনাটি অন্যদিকে প্রবাহিত করতে নানাধরণের ছল কষতে থাকে।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে হাজেরা বেগমের নির্দেশ অনুযায়ী মন্টু ও তার অনুসারীরা হৃদয় ও তার পিতা দুলালকে আপস মীমাংসার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়।
এতে রাজি না হলে মিথ্যা অভিযোগে হৃদয় ও তার পিতা দুলালকে থানায় হস্তান্তর করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করেন। সোমবার সকালে থানা কর্তৃপক্ষ পিতা-পুত্রকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এদিকে মামলার প্রতিবাদে সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা ১১টায় হৃদয়ের বাড়ির সামনের সড়কে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি ও অনতিবিলম্বে পিতা – পুত্রকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে জোর দাবি জানান।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?