সামরিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক কর্নেল (অব.) এম এ হক বলেছেন, ধর্ষণের শাস্তি নিয়ে ইসলাম যে আইন নির্ধারণ করেছে, সেখানে ধর্ষকদের প্রতি কোনো দয়া দেখানোর সুযোগ নেই। তিনি একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের টকশোতে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো এমন অনেক মানুষ আছে, যারা ধর্মের নাম শুনতেই চায় না। ইসলামের নাম শুনলেই তারা বিরক্ত হয়, ইসলামের বিরোধিতা করাকে তারা অভ্যাসে পরিণত করেছে।
ধর্ষণের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসলামের বিধান অনুযায়ী ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত। একটি ৮ বছরের শিশুকে নির্মমভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে, সেখানে অপরাধীর প্রতি সহানুভূতির কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আছিয়াকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, ধর্ষককেও আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, আর সেই আল্লাহই ধর্ষণের শাস্তির আইন নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তাহলে কেন ধর্ষকদের প্রতি মায়া দেখানো হবে? তিনি বলেন, যারা এই অপরাধীদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর চেষ্টা করছে, তারা আসলে ন্যায়বিচারের ধারণাকে ধ্বংস করছে।
তার বক্তব্য টকশোতে উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অনেকেই তার বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ কেউ আইনের শাসনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তবে সাম্প্রতিক ধর্ষণ ও শিশু হত্যার ঘটনায় জনমনে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কর্নেল (অব.) এম এ হকের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?