শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

গলাচিপায় মৎস্য ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে প্রতারক ইমন এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

পটুয়াখালীর গলাচিপায় মৎস্য ব্যবসায়ীরা ইমন নামক একজনের প্রতারণার শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন।  ১৭ মার্চ দুপুর ২ টায় মৎস্য ব্যবসায়ী অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।  সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১লা মার্চ তারিখে গলাচিপা থেকে ঢাকাগামী ডলফিন পরিবহনে ৩১ কার্টুন ইলিশ মাছ নিয়ে […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৭ মার্চ ২০২৫, ২০:১৬

পটুয়াখালীর গলাচিপায় মৎস্য ব্যবসায়ীরা ইমন নামক একজনের প্রতারণার শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

১৭ মার্চ দুপুর ২ টায় মৎস্য ব্যবসায়ী অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১লা মার্চ তারিখে গলাচিপা থেকে ঢাকাগামী ডলফিন পরিবহনে ৩১ কার্টুন ইলিশ মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় বাবুগঞ্জ থানাধীন নতুনহাট বাজার বিটে পৌছালে প্রতারক ইমন এর ইন্দোনে অজ্ঞাতনামা কিছু লোক পরিবহন থামিয়ে ১৮ কার্টুন ইলিশ মাছ নামিয়ে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে নূরে আলম নামে একজন লোক ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে ৪০ হাজার টাকা নূরে আলম এর দুইটি মোবাইল নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু তারা মাছ না দিয়ে তালবাহনা শুরু করেন।

এ বিষয়টি নিয়ে বাবুগঞ্জ থানাকে অবহিত করলে থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ১৩ কার্টুন মাছ উদ্ধার করে। বাকি ৫ কাটুন মাছ উদ্ধার করতে পারেনি ।মাছ গুলোর বাজার মূল্য প্রায় ২৬ লাখ টাকা।

গত ৪ মার্চ তারিখে উক্ত নূরে আলম তার NRBC ব্যাংক থেকে প্রতারক ইমনকে ১ লাখ টাকা গলাচিপা পূবালী ব্যাংকের শাখায় পাঠায়।

এ তথ্য পাওয়ার পরে উক্ত বিষয় নিয়ে প্রতারক ইমনকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে নানান রকমের তালবাহনা শুরু করেন । এ নিয়ে আমরা গলাচিপা মৎস্য ব্যবসায়ীরা গলাচিপা থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।”

এছাড়াও প্রতারক ইমন প্যাদা ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত আছে এমন অভিযোগ করেন। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বহু টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয় বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ বিষয়ে প্রতারক ইমন প্যাদাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শান্তির দাবি করেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

 এ সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোঃ চুন্নু মৃধা, বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী কুদ্দুস মুন্সি, মসিউর সম্রাট, হেলাল সিকদার,রহমান খলিফা,বশির হাওলাদার, বাচ্চু হাওলাদার, মামুন সহ আরো অনেকে।

সারাদেশ

ওবায়দুল কাদেরকে পালাতে সহায়তা করায়,সেই যুবদল নেতা আটক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ভারতে পালাতে সহায়তার দাবি করে আলোচনায় আসা যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা ইস্কান্দার আলী ওরফে জনিকে আটক করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ঢাকার খিলক্ষেতের তালের টেক থানার দক্ষিণ নামাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা […]

ওবায়দুল কাদেরকে পালাতে সহায়তা করায়,সেই যুবদল নেতা আটক

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৬ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩৬

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ভারতে পালাতে সহায়তার দাবি করে আলোচনায় আসা যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা ইস্কান্দার আলী ওরফে জনিকে আটক করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ঢাকার খিলক্ষেতের তালের টেক থানার দক্ষিণ নামাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুরুল হক ভূঁইয়া।

৪২ বছর বয়সী ইস্কান্দার আলী ছিলেন যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। যশোর জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের তথ্যমতে, তিনি জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলামের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

এছাড়া, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটানো ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

জনি সম্প্রতি এক ফেসবুক লাইভে দাবি করেন, ওবায়দুল কাদের যশোর সেনানিবাসে অবস্থানকালে তাকে ভারতে পালাতে সাহায্য করেছিলেন তৎকালীন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক। তার এই বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

তবে যশোর জেলা বিএনপি ও যুবদলের নেতারা এই বক্তব্যকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। সেনাবাহিনী ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা করা হয়।

আত্মগোপনে থাকা জনিকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার রাতে আটক করে ডিবি। আজ (২৬ জুলাই) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সারাদেশ

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন অর রশিদের মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউজ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন অর রশিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে তিনি ক্লাবের একটি রুমে রাত্রিযাপনের জন্য ওঠেন। সোমবার সকালে তার সাড়াশব্দ না পেয়ে রুমের দরজা ভাঙা হয়। […]

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন অর রশিদের মরদেহ উদ্ধার

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৪৭

চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউজ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন অর রশিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে তিনি ক্লাবের একটি রুমে রাত্রিযাপনের জন্য ওঠেন। সোমবার সকালে তার সাড়াশব্দ না পেয়ে রুমের দরজা ভাঙা হয়। সেখানে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

এম হারুন উর রশিদের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। তবে তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুন রোববার বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছেন। বিকেল ৪টায় তিনি চট্টগ্রাম ক্লাবের একটি ভিআইপি কক্ষে ওঠেন।

ঘণ্টাখানেক পর তিনি ক্লাব থেকে বেরিয়ে রাত পৌনে ১১টায় ফেরেন। কক্ষে ঢোকার আগে তিনি ডেস্কে গিয়ে ব্রেকফাস্টের সময় জেনে নেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত দরজা না খোলায় কক্ষের পেছনের জানালা দিয়ে দেখা যায়, বিছানার ওপর তিনি নিথর অবস্থায় পড়ে আছেন।

সাবেক সেনাপ্রধানের নিকটাত্মীয় এনাম আহমেদ বলেন, আজ উনার একটি মামলায় আদালতে হাজিরার কথা ছিল। সেজন্যই মূলত তিনি ঢাকা থেকে এসেছিলেন। চট্টগ্রাম ক্লাবের ভিআইপি রুমে একাই ছিলেন। সম্ভবত স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

এম হারুন উর রশীদের বয়স প্রায় ৭৫ বছর। তিনি বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২০০০ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০০২ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত তিনি দেশের দশম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অবসরে যাওয়ার পর হারুন উর রশিদ ডেসটিনির সঙ্গে ব্যবসায় যুক্ত হন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলও খেটেছিলেন।

সারাদেশ

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ছাত্রদল […]

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক

২৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৫

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ছাত্রদল নেতা আশিককে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।

র‌্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ১০টায় উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকায় র‌্যাব -১৪ অভিযান চালিয়ে আশিক মাহমুদকে ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। উদ্ধারবকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৩ হাজার ৫শ টাকা। পরে র‌্যাব সদস্যরা আশিককে নালিতাবাড়ী থানায় সোপর্দ করলে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ আশিককে রবিবার রাতেই থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব । সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


এদিকে সোমবার বিকেলে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম আহমেদ বাবু সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান উজ্জ্বল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।