শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে ছাত্র-জনতার অফিস ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি পালন

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবিতে পটুয়াখালীর গলাচিপায় সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার আয়োজনে অফিস ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।  সোমবার বেলা ১১টায় শহরের জৈণপুরী পীর সাহেব খানকা মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সম্মুখে এসে শেষ হয়। পরে ছাত্র-জনতা ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করেন। […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৭ মার্চ ২০২৫, ২০:০১

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবিতে পটুয়াখালীর গলাচিপায় সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার আয়োজনে অফিস ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। 

সোমবার বেলা ১১টায় শহরের জৈণপুরী পীর সাহেব খানকা মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সম্মুখে এসে শেষ হয়। পরে ছাত্র-জনতা ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকে। 

অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ও অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী শাহ জুবায়ের আব্দুল্লাহ, আবুল খায়ের, তরিকুল ইসলাম মুন্না, ইয়াকুর হাসান, তানভীর হাসান, সাইফুল ইসলাম, নাসাউল নাসু, নাজমুল হাসান, রাশেদুল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পতনের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমরা গুলিও খেয়েছি। আর গলাচিপার ইউএনও মিজানুর রহমান ফ্যাসিস্ট সরকারের মতোই জুলাই আন্দোলনে আহতদের টাকা আমাদেরকে না দিয়ে নিজেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, ইসলাম ও জনগণের শত্রু, দুর্নীতিগ্রস্ত, জুলাই বিপ্লবের চেতনা বিরোধী ইউএনও-কে অবিলম্বে অপসারণ করার জন্য ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনার কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। দাবি মানা না হলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, ‘আমার হিসাবে এটা যে কোন মানুষের যে কোন বিষয় নিয়ে দাবি করার অধিকার আছে। এটা যে কোন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। তারা এটা দাবি করতে পারে। আমি তাদের প্রতি অনুরোধ করবো তারা যে দাবি করবে সেটা যেন খুব শান্তিপূর্ণ হয়। জনগণের জানমাল বা কোন বিষয় যেন বিনষ্ট বা কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়।

আর ওনাদের যে দাবি লিখিতভাবে যদি আমার কাছে জানায় এটা আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো এবং প্রশাসনিক যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার তা করবো। কিন্তু অযৌক্তিকভাবে যে কোন কারণে দাবি করলে সেটা কারো জন্য শোভন হবে না এবং কারো জন্য ভাল একটি লক্ষণ বলে আমি মনে করি না। যে কোন মানুষের যে কোন বিষয় নিয়ে যে কোন একটা দাবি তোলার অধিকার মানুষের রয়েছে।’

সারাদেশ

ওবায়দুল কাদেরকে পালাতে সহায়তা করায়,সেই যুবদল নেতা আটক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ভারতে পালাতে সহায়তার দাবি করে আলোচনায় আসা যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা ইস্কান্দার আলী ওরফে জনিকে আটক করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ঢাকার খিলক্ষেতের তালের টেক থানার দক্ষিণ নামাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা […]

ওবায়দুল কাদেরকে পালাতে সহায়তা করায়,সেই যুবদল নেতা আটক

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৬ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩৬

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ভারতে পালাতে সহায়তার দাবি করে আলোচনায় আসা যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা ইস্কান্দার আলী ওরফে জনিকে আটক করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ঢাকার খিলক্ষেতের তালের টেক থানার দক্ষিণ নামাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুরুল হক ভূঁইয়া।

৪২ বছর বয়সী ইস্কান্দার আলী ছিলেন যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। যশোর জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের তথ্যমতে, তিনি জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলামের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

এছাড়া, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটানো ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

জনি সম্প্রতি এক ফেসবুক লাইভে দাবি করেন, ওবায়দুল কাদের যশোর সেনানিবাসে অবস্থানকালে তাকে ভারতে পালাতে সাহায্য করেছিলেন তৎকালীন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক। তার এই বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

তবে যশোর জেলা বিএনপি ও যুবদলের নেতারা এই বক্তব্যকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। সেনাবাহিনী ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা করা হয়।

আত্মগোপনে থাকা জনিকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার রাতে আটক করে ডিবি। আজ (২৬ জুলাই) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সারাদেশ

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন অর রশিদের মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউজ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন অর রশিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে তিনি ক্লাবের একটি রুমে রাত্রিযাপনের জন্য ওঠেন। সোমবার সকালে তার সাড়াশব্দ না পেয়ে রুমের দরজা ভাঙা হয়। […]

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন অর রশিদের মরদেহ উদ্ধার

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৪৭

চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউজ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন অর রশিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে তিনি ক্লাবের একটি রুমে রাত্রিযাপনের জন্য ওঠেন। সোমবার সকালে তার সাড়াশব্দ না পেয়ে রুমের দরজা ভাঙা হয়। সেখানে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

এম হারুন উর রশিদের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। তবে তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুন রোববার বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছেন। বিকেল ৪টায় তিনি চট্টগ্রাম ক্লাবের একটি ভিআইপি কক্ষে ওঠেন।

ঘণ্টাখানেক পর তিনি ক্লাব থেকে বেরিয়ে রাত পৌনে ১১টায় ফেরেন। কক্ষে ঢোকার আগে তিনি ডেস্কে গিয়ে ব্রেকফাস্টের সময় জেনে নেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত দরজা না খোলায় কক্ষের পেছনের জানালা দিয়ে দেখা যায়, বিছানার ওপর তিনি নিথর অবস্থায় পড়ে আছেন।

সাবেক সেনাপ্রধানের নিকটাত্মীয় এনাম আহমেদ বলেন, আজ উনার একটি মামলায় আদালতে হাজিরার কথা ছিল। সেজন্যই মূলত তিনি ঢাকা থেকে এসেছিলেন। চট্টগ্রাম ক্লাবের ভিআইপি রুমে একাই ছিলেন। সম্ভবত স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

এম হারুন উর রশীদের বয়স প্রায় ৭৫ বছর। তিনি বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২০০০ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০০২ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত তিনি দেশের দশম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অবসরে যাওয়ার পর হারুন উর রশিদ ডেসটিনির সঙ্গে ব্যবসায় যুক্ত হন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলও খেটেছিলেন।

সারাদেশ

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ছাত্রদল […]

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক

২৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৫

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ছাত্রদল নেতা আশিককে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।

র‌্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ১০টায় উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকায় র‌্যাব -১৪ অভিযান চালিয়ে আশিক মাহমুদকে ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। উদ্ধারবকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৩ হাজার ৫শ টাকা। পরে র‌্যাব সদস্যরা আশিককে নালিতাবাড়ী থানায় সোপর্দ করলে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ আশিককে রবিবার রাতেই থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব । সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


এদিকে সোমবার বিকেলে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম আহমেদ বাবু সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান উজ্জ্বল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।