শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

মেহেরপুরে ঈদের কেনাকাটা জমজমাট

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনীর বিভিন্ন মার্কেটে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদকে উপভোগ্য করে তোলার হাজার আয়োজন। অভিযাত বিপনী বিতান থেকে শুরু করে ফুটপাত, সবখানেই ব্যস্ততা। হাজার কোলাহল পেরিয়ে প্রিয় মানুষটির জন্য মানানসই পোশাকটি খুঁজে বের করার কী আপ্রাণ চেষ্টা, যেন ঝিনুক সেচে মুক্তার খোঁজ। বাঙালী ললনাদের ঐতিহ্যবাহী অনুসঙ্গ শাড়ি ছাড়াও তারা কিনছেন সালোয়ার […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৭ মার্চ ২০২৫, ১৪:১৪

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ

মেহেরপুরের গাংনীর বিভিন্ন মার্কেটে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদকে উপভোগ্য করে তোলার হাজার আয়োজন। অভিযাত বিপনী বিতান থেকে শুরু করে ফুটপাত, সবখানেই ব্যস্ততা।

হাজার কোলাহল পেরিয়ে প্রিয় মানুষটির জন্য মানানসই পোশাকটি খুঁজে বের করার কী আপ্রাণ চেষ্টা, যেন ঝিনুক সেচে মুক্তার খোঁজ। বাঙালী ললনাদের ঐতিহ্যবাহী অনুসঙ্গ শাড়ি ছাড়াও তারা কিনছেন সালোয়ার কামিজ।

ছেলেরা ঈদবাজারে জুতসই পাঞ্জাবি কিনছেন। তবে গরমে ঈদ হওয়ায় ছেলে মেয়েরা সবাই সূতি কাপড়ের প্রতি আগ্রহী।

উপজেলার বিভিন্ন অভিজাত বিপনী বিতান শপিংমল এমনকি ফুটপাত উপচেপড়া ভিড়। সকাল থেকে দুপুর ও বিকেল থেকে সন্ধ্যারাত পর্যন্ত রূপ নেয় ক্রেতা ও দর্শনার্থী সমুদ্রে। উদ্দেশ্য আসন্ন ঈদুল ফিতরের জন্য নতুন পোশাক এবং অন্যান্য অনুষঙ্গ কেনা।

গেল বছরের তুলনায় একটু দাম বেশি বলেও দাবী ক্রেতাদের। ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে দরকসাকসির শেষে বাড়ি ফেরার পথে সবার হাতেই থাকছে এক বা একাধিক নতুন কাপড়ে ভরা ব্যাগ।

শাড়ী ছাড়া বাঙ্গালী নারীর কোন অনুষ্ঠানই যেন বেমানান। সেই শাড়ীর সাথে রয়েছে নারীদের নাড়ীর টান বাঙ্গালীয়ানা। সেই টানেই তারা ছুটে চলেছেন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে শাড়ী কিনতে। দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কাতান, বালিচুরি, রাজশাহী সিল্ক।

পাবনার তাঁতের শাড়ি যেমন নারীদের মন কাড়ছে তেমনি টাঙ্গাইলের গ্রামীণ চেকও নারীদের মন মাতিয়ে তুলেছে।

তুলনা মূলকভাবে শাড়ীর দাম নাগালের মধ্যে। এবারে গরমকালে ঈদ। তাই সকলে সূতী কাপড়ে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন কাজল বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী হাফিজুর রহমান কাজল ও বম্বের আলাউদ্দীন।

সুইয়ের ফোঁড়ে লুকিয়ে থাকা সুন্দর কারুকাজের পাঞ্জাবি আর সাদামাটা নকশার ও ঝাকঝকহীন কারুকাজের পাঞ্জাবির সঙ্গেও মিলিয়ে অনেক ক্রেতা কিনছেন পছন্দসই কটি। শর্ট পাঞ্জাবিও বিক্রি হচ্ছে তবে তুলনামূলক কম।

পাঞ্জাবির কলার, হাতা বা বুকের সামনে আছে নানা ধরনের নকশা। লম্বা পাঞ্জাবিতে কলার ও বুকের দিকে থাকছে পুঁতি বা সুতার কাজ। আছে লম্বা, সেমিলম্বা, শর্ট, ঢিলেঢালা, আঁটসাঁট পাঞ্জাবি। 

জামান গার্মেন্ট্স এর মালিক জামান জানান, পাঞ্জাবী ছাড়াও একটু রূচীশীল ক্রেতারা কিনছেন কারুকাজ খচিত ফতুয়া। দামও সাধ এবং সাধ্যের নাগালে। বিভিন্ন দোকানে প্রকার ভেদে পাঞ্জাবী বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকায়।

ফতুয়ায় আছে নতুনত্বের ছোঁয়া। জুড়ে দেয়া আছে বাড়তি পকেট। এসব ফতুয়া পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায়। 

মেয়েদের পোশাকের মধ্যে এবার পাথরের কাজের তুলনায় সুতার কাজের কামিজগুলো ভালো চলছে। বিাভিন্ন দোকান ঘুরে দোকানী ও ক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ভারতীয় কাপড়ে জরি, সুতা, পুঁথি, চুমকি, কুন্দন ইত্যাদি দিয়ে নকশা করা সালোয়ার-কামিজের চাহিদা আছে বেশ।

সূতি পোশাকের চাহিদাটা একটু বেশি। এ চাহিদা বেশি থাকার কারণ মূলত গরম। এছাড়া গরমে হালকা রঙের প্রাধান্য থাকলেও উৎসবের কারণে গাঢ় রঙের পোশাকও বিক্রি হচ্ছে বেশ।

গাড়াডোব গ্রামের গৃহবধু সানজিদা জানান, পরি, পাকিস্তানি, সারারা, গারারা, প্রজাপতিসহ নানা ডিজাইনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। কাজ ভেদে এসব পোশাকের দাম পড়ছে আড়াই হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা। আরো বেশি দামের পোশাকও আছে।

দামের ব্যাপারে জানতে চাইলে ক্রেতারা জানান, গেল ঈদের চেয়ে এবার পোশাকের দাম একটু বেশি। তারপরও কাঙ্খিত অনুসঙ্গ কিনতে পেরে তারা খুশি বলে জানালেন গাংনীর সেনা সদস্য হাসান। 

এদিকে পোশাকের সাথে মিলিয়ে জুতা আর হাল্কা প্রসাধনী কেনার পালা। স্বল্প দামে টেকসই পাদুকাটা চাচ্ছেন তারা। তবে মেয়েদের একটু বাড়তি কেনাকাটার মধ্যে রয়েছে প্রসাধনী। সাজু গুজু করে মনটা রাঙানোর পাশাপাশি হাতটা রাঙাতে হবে। তাই মেহেদী কেনারও ধুম পড়েছে তাদের।

বিভিন্ন কোম্পানীর তৈরী মেহেদী বাজারে পাওয়া গেলেও বেশী বিক্রি হচ্ছে রাঙাপরী। সাথে থাকা স্বামী ভাই বন্ধু বা প্রেমিকের পকেট ফাঁকা হলেও মেয়েদের সেদিকে যেন কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ছেলেরাও সম্মান বাঁচাতে মুখে যেন কুলুপ এঁটেছেন। 

মধ্য ও নিম্ন বিত্তদের ভরসার স্থান ফুটপাথের বাজারও বেশ জমজমাট। নি¤œ আয়ের ক্রেতাদের ভিড় ছিল বেশি। কি নেই এখানে? অভিজাত বিপণিতে যা পাওয়া যায় ঠিক একই ধরনের অনুষঙ্গ পাওয়া যাচ্ছে এখানে।

কয়েকজন জানালেন, ফুটপাথে সালোয়ার কামিজ ও বাচ্চাদের কাপড়-চোপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে। শার্ট ও গেঞ্জি বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য অনুষঙ্গের তুলনায় কম।

গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানান, ক্রেতা বিক্রেতাদের নির্বিঘœ কেনা কাটা ও বাড়তি নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃ ১৭-০৩-২৫ ইং।

মেহেরপুরের গাংনীর বিভিন্ন মার্কেটে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদকে উপভোগ্য করে তোলার হাজার আয়োজন। অভিযাত বিপনী বিতান থেকে শুরু করে ফুটপাত, সবখানেই ব্যস্ততা।

হাজার কোলাহল পেরিয়ে প্রিয় মানুষটির জন্য মানানসই পোশাকটি খুঁজে বের করার কী আপ্রাণ চেষ্টা, যেন ঝিনুক সেচে মুক্তার খোঁজ। বাঙালী ললনাদের ঐতিহ্যবাহী অনুসঙ্গ শাড়ি ছাড়াও তারা কিনছেন সালোয়ার কামিজ।

ছেলেরা ঈদবাজারে জুতসই পাঞ্জাবি কিনছেন। তবে গরমে ঈদ হওয়ায় ছেলে মেয়েরা সবাই সূতি কাপড়ের প্রতি আগ্রহী।

উপজেলার বিভিন্ন অভিজাত বিপনী বিতান শপিংমল এমনকি ফুটপাত উপচেপড়া ভিড়। সকাল থেকে দুপুর ও বিকেল থেকে সন্ধ্যারাত পর্যন্ত রূপ নেয় ক্রেতা ও দর্শনার্থী সমুদ্রে। উদ্দেশ্য আসন্ন ঈদুল ফিতরের জন্য নতুন পোশাক এবং অন্যান্য অনুষঙ্গ কেনা।

গেল বছরের তুলনায় একটু দাম বেশি বলেও দাবী ক্রেতাদের। ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে দরকসাকসির শেষে বাড়ি ফেরার পথে সবার হাতেই থাকছে এক বা একাধিক নতুন কাপড়ে ভরা ব্যাগ।

শাড়ী ছাড়া বাঙ্গালী নারীর কোন অনুষ্ঠানই যেন বেমানান। সেই শাড়ীর সাথে রয়েছে নারীদের নাড়ীর টান বাঙ্গালীয়ানা। সেই টানেই তারা ছুটে চলেছেন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে শাড়ী কিনতে। দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কাতান, বালিচুরি, রাজশাহী সিল্ক।

পাবনার তাঁতের শাড়ি যেমন নারীদের মন কাড়ছে তেমনি টাঙ্গাইলের গ্রামীণ চেকও নারীদের মন মাতিয়ে তুলেছে। তুলনা মূলকভাবে শাড়ীর দাম নাগালের মধ্যে। এবারে গরমকালে ঈদ।

তাই সকলে সূতী কাপড়ে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন কাজল বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী হাফিজুর রহমান কাজল ও বম্বের আলাউদ্দীন।

সুইয়ের ফোঁড়ে লুকিয়ে থাকা সুন্দর কারুকাজের পাঞ্জাবি আর সাদামাটা নকশার ও ঝাকঝকহীন কারুকাজের পাঞ্জাবির সঙ্গেও মিলিয়ে অনেক ক্রেতা কিনছেন পছন্দসই কটি। শর্ট পাঞ্জাবিও বিক্রি হচ্ছে তবে তুলনামূলক কম।

পাঞ্জাবির কলার, হাতা বা বুকের সামনে আছে নানা ধরনের নকশা। লম্বা পাঞ্জাবিতে কলার ও বুকের দিকে থাকছে পুঁতি বা সুতার কাজ। আছে লম্বা, সেমিলম্বা, শর্ট, ঢিলেঢালা, আঁটসাঁট পাঞ্জাবি। 

জামান গার্মেন্ট্স এর মালিক জামান জানান, পাঞ্জাবী ছাড়াও একটু রূচীশীল ক্রেতারা কিনছেন কারুকাজ খচিত ফতুয়া। দামও সাধ এবং সাধ্যের নাগালে। বিভিন্ন দোকানে প্রকার ভেদে পাঞ্জাবী বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকায়।

ফতুয়ায় আছে নতুনত্বের ছোঁয়া। জুড়ে দেয়া আছে বাড়তি পকেট। এসব ফতুয়া পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায়। 

মেয়েদের পোশাকের মধ্যে এবার পাথরের কাজের তুলনায় সুতার কাজের কামিজগুলো ভালো চলছে। বিাভিন্ন দোকান ঘুরে দোকানী ও ক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ভারতীয় কাপড়ে জরি, সুতা, পুঁথি, চুমকি, কুন্দন ইত্যাদি দিয়ে নকশা করা সালোয়ার-কামিজের চাহিদা আছে বেশ।

সূতি পোশাকের চাহিদাটা একটু বেশি। এ চাহিদা বেশি থাকার কারণ মূলত গরম। এছাড়া গরমে হালকা রঙের প্রাধান্য থাকলেও উৎসবের কারণে গাঢ় রঙের পোশাকও বিক্রি হচ্ছে বেশ।

গাড়াডোব গ্রামের গৃহবধু সানজিদা জানান, পরি, পাকিস্তানি, সারারা, গারারা, প্রজাপতিসহ নানা ডিজাইনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। কাজ ভেদে এসব পোশাকের দাম পড়ছে আড়াই হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা। আরো বেশি দামের পোশাকও আছে।

দামের ব্যাপারে জানতে চাইলে ক্রেতারা জানান, গেল ঈদের চেয়ে এবার পোশাকের দাম একটু বেশি। তারপরও কাঙ্খিত অনুসঙ্গ কিনতে পেরে তারা খুশি বলে জানালেন গাংনীর সেনা সদস্য হাসান। 

এদিকে পোশাকের সাথে মিলিয়ে জুতা আর হাল্কা প্রসাধনী কেনার পালা। স্বল্প দামে টেকসই পাদুকাটা চাচ্ছেন তারা। তবে মেয়েদের একটু বাড়তি কেনাকাটার মধ্যে রয়েছে প্রসাধনী। সাজু গুজু করে মনটা রাঙানোর পাশাপাশি হাতটা রাঙাতে হবে। তাই মেহেদী কেনারও ধুম পড়েছে তাদের।

বিভিন্ন কোম্পানীর তৈরী মেহেদী বাজারে পাওয়া গেলেও বেশী বিক্রি হচ্ছে রাঙাপরী। সাথে থাকা স্বামী ভাই বন্ধু বা প্রেমিকের পকেট ফাঁকা হলেও মেয়েদের সেদিকে যেন কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ছেলেরাও সম্মান বাঁচাতে মুখে যেন কুলুপ এঁটেছেন। 

মধ্য ও নিম্ন বিত্তদের ভরসার স্থান ফুটপাথের বাজারও বেশ জমজমাট। নি¤œ আয়ের ক্রেতাদের ভিড় ছিল বেশি। কি নেই এখানে? অভিজাত বিপণিতে যা পাওয়া যায় ঠিক একই ধরনের অনুষঙ্গ পাওয়া যাচ্ছে এখানে।

কয়েকজন জানালেন, ফুটপাথে সালোয়ার কামিজ ও বাচ্চাদের কাপড়-চোপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে। শার্ট ও গেঞ্জি বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য অনুষঙ্গের তুলনায় কম।

গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানান, ক্রেতা বিক্রেতাদের নির্বিঘœ কেনা কাটা ও বাড়তি নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ৯০৫

সারাদেশ

১৬ বছর চাকুরিচ্যুত পুলিশ কর্মকর্তা অপারেশন ডেভিল হান্টের নেতৃত্বে

গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় আজ (শনিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আসিফ সৈকত তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে বলেছেন,অপারেশন […]

নিউজ ডেস্ক

০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০:৪৬

গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় আজ (শনিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আসিফ সৈকত তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে বলেছেন,অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু।

এই অপারেশনের নেতৃত্বে রয়েছেন ১৬ বছর চাকুরিচ্যুত থাকার পর চাকরি ফিরে পাওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ৯০৫

সারাদেশ

মির্জাগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্টে মাদক ব্যবসায়ী সহ গ্রেফতার ৫ জন

সিয়াম রহমান হিমেল, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের সভাপতিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার (৬ মার্চ) অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে সুবিদখালী দারুস সুন্নাত মাদ্রাসার সামনের রোড থেকে রাত আনুমানিক ৮ঘটিকায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লোটাস সিকদার-কে (৪৮) ভয়াং বাজারে চাঁদাবাজি ও মারামারি […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৭ মার্চ ২০২৫, ১৪:৩৩

সিয়াম রহমান হিমেল, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের সভাপতিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার (৬ মার্চ) অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে সুবিদখালী দারুস সুন্নাত মাদ্রাসার সামনের রোড থেকে রাত আনুমানিক ৮ঘটিকায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লোটাস সিকদার-কে (৪৮) ভয়াং বাজারে চাঁদাবাজি ও মারামারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত লোটাস উপজেলা সদরস্থ দেউলী গ্রামের রমজান আলীর পুত্র। 

এছাড়াও অল্প সময়ের ব্যবধানে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি নিজাম হাওলাদার (৪৯) ও তাঁর সঙ্গী রুবেলকে (৪০) মির্জাগঞ্জ ব্রীজের উপর থেকে ৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্ধ করা হয়।

আটককৃত নিজাম হাওলাদার পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের মৃত মুনসুর আলী হাওলাদারের পুত্র ও রুবেল পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের সামসু হাওলাদারের পুত্র। আটককৃত রুবেলের বিরুদ্ধে মির্জাগঞ্জ থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ৫টি মামলা রয়েছে।

অন্যদিকে একই উপজেলার মজিদবাড়ীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মজিদবাড়িয়া গ্রামের করিম মৃধার পূত্র মিরাজ মৃধা (২৫)-কে ১০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

মিরাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে এবং তিনি আন্ত:জেলা মাদক কারবারের সাথে জড়িত।  

অন্যদিকে উপজেলা সদরস্থ দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ডোকলাখালী গ্রামের কাঞ্চু কবিরাজের পুত্র নুরুল হক নামে এক ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামিকে তার নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম হাওলাদার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পরে তাদেরকে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদক ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ৯০৫

সারাদেশ

নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, মায়ের কৌশলে ধরা পড়লেন বাবা

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন বলুয়ারদিঘির পাড় এলাকায় নিজের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে আটক করে হাজতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম। জানা গেছে, প্রতিদিন শিশুটির মা যখন গার্মেন্টসের কাজে বেরিয়ে যান, বাবা তখন নাইটগার্ডের চাকরি শেষে বাসায় ফেরেন। এ সুযোগে […]

নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, মায়ের কৌশলে ধরা পড়লেন বাবা

ছবি : সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

১০ মার্চ ২০২৫, ১৩:৫০

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন বলুয়ারদিঘির পাড় এলাকায় নিজের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে আটক করে হাজতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম।

জানা গেছে, প্রতিদিন শিশুটির মা যখন গার্মেন্টসের কাজে বেরিয়ে যান, বাবা তখন নাইটগার্ডের চাকরি শেষে বাসায় ফেরেন। এ সুযোগে বেশ অনেকদিন ধরে নিজের কন্যাশিশুটির সঙ্গে অনৈতিকভাবে মেলামেশার চেষ্টা করে আসছিলেন বাবা প্রদীপ বণিক।

এর আগে যতোবারই এমন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, শিশুটি তার মা বাসায় ফেরার পর বোঝানোর চেষ্টা করেছে। কান্নাকাটিও করতো। কিন্তু মায়ের কাছেও পুরো বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হতো।

কয়েকদিন আগেও শিশুটিকে যখন বাবা প্রদীপ বণিক ধর্ষণ করে, তখন মেয়েটি সারাক্ষণই কান্নাকাটি করতে থাকে। একপর্যায়ে মাকে সবকিছু খুলে বলে। তখন মা তাকে একটি মোবাইল হাতে দিয়ে বলেন, যখনই বাবা ওরকম কিছু করার চেষ্টা করবে, তখন মোবাইলে ভিডিও করে রাখবে।

রোববার বেলা তিনটার দিকে প্রদীপ বণিক রোজকারমতো মেয়েকে বিছানায় টানার চেষ্টা করলে সে কৌশলে মোবাইলের ভিডিও সচল করে দেয়। গার্মেন্টসের কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর সেই ভিডিও দেখে মা ও মেয়ে দুজনেই চিৎকার করে কান্নাকাটি করতে থাকে। এ সময় আশেপাশে তাদের কয়েকজন নিকটাত্মীয়ও সেখানে আসেন।

এরপর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জাতীয় জরুরি সহায়তা সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনা জানানো হলে পুলিশ এসে প্রদীপ বণিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে ধর্ষিতা শিশুটিকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করানো হয়

সোমবার রাত একটার দিকে এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার বাদি হয়েছেন শিশুটির মা নিজে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, “এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন মেয়েটির মা নিজেই। পুলিশ এখন এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করবে।”

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ৯০৫