নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটির ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বিওপি বাজার বাকালি হাউজ সংলগ্ন এলাকায় আসাদুল ইসলামের ১৪ বছরের মেয়ে রাশেদা আক্তারকে একই এলাকার মৃত. বাচ্চা মিয়ার ছেলে মজিবুল ইসলাম (৪৪) বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ধর্ষণ করে আসছে।
ব্যাপারটি মেয়ের মা লিলি বেগম জানতে পারলে ধর্ষক মজিবুল ইসলাম মেয়ের মাকে ৫০ শতকের একটি জমির দলিল দেয় এবং বিভিন্ন জিনিস দেওয়ার লোভ দেখিয়ে রাশেদাকে দীর্ঘদিন থেকে ধর্ষণ করে আসছে।
এক পর্যায়ে রাশেদা আক্তার চার মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে পিতা আসাদুল ইসলাম ও মা লিলি বেগম মেয়েকে তড়িঘড়ি করে গত ২ মার্চ ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের আদর্শ বাজার (শয়তানের বাজার) এলাকার নুর আমিনের নাবালক ছেলে লিমন ইসলামের (১৮) সঙ্গে বিয়ে দেয়।
বিয়ের দুই দিনের মাথায় লিমনের সন্দেহ হয় তার স্ত্রী রাশেদা আক্তার অন্তঃসত্ত্বা। তারপর তাকে মেডিকেলে নিয়ে গিয়ে চেকআপ করানোর পর জানতে পারে যে তার স্ত্রীর পেটে চার মাসের বাচ্চা রয়েছে। ব্যাপারটি জানাজানি হলে লিমন ইসলাম তার স্ত্রী রাশেদাকে গত ১২ মার্চ ডিভোর্স দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
মেয়ের ডিভোর্স হওয়া এবং বাড়ি চলে আসায় বাবা-মায়ের মাথার টনক নরে যায়। তারপর তারা এ কুল হারিয়ে আরেক কুল আঁকড়ে ধরার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে মেয়ের ধর্ষণের ধামাচাপা দেওয়া ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
অন্যদিকে ধর্ষক মজিবুল ইসলাম এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শন করেছেন এবং আসামি ধরার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে তারা জানান।
এ ব্যাপারে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই উৎপল রায় জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯/১ ধারায় ডোমার থানায় (ধর্ষণ) মামলা দায়ের করা হয়েছে যাহার মামলা নং-০৬।