নীলফামারীতে ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশা, কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। এবার আবহাওয়া অনুকুলে ও উন্নত প্রযুক্তির কারণে কৃষকরা ভালো ফলনের আশা করছেন। আগাম জাতের ভূট্টাগাছে গাছে বেড় হচ্ছে মোচা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্র জানায়, জেলায় গত বছর ছয় উপজেলায় ভূট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৮ হাজার ৩২৩ হেক্টর। এবার চলতি মৌসুমে জমির লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ৯৬২ হেক্টর। এতে অতিরিক্তি জমি চাষের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৩৯ হেক্টর।
এরমধ্যে নীলফামারী সদরে চার হাজার ১০০ হেক্টর, সৈয়দপুরে ৫৪০ হেক্টর, ডোমারে ৫ হাজার ৫০ হেক্টর, ডিমলায় ১৫ হাজার ৯৩০ হেক্টর, জলঢাকায় ৪ হাজার ৮৮২ হেক্টর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় তিন হাজার ৪৬০ হেক্টর। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২২ হাজার ৮৮২ মেট্রিকটন।
নীলফামারী সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের কৃষক আবু কালাম জানান, বিগত কয়েক বছরে ভুট্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলের চাষিরা দিন দিন ভুট্টার দিকে ঝুঁকছেন। এছাড়াও, তিস্তা তীরবর্তী অঞ্চলসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে ব্যাপক হারে ভুট্টা চাষ হয়েছে, যা কৃষকদের অর্থনৈতিক জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে ইতিবাচক সারা ফেলছে।
একই উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের ভুট্টাচাষি মোখলেছুর রহমান বলেন, “আগে এই এলাকায় তামাক, গম ও পাট চাষ বেশি হতো। তবে এখন মানুষের নানা ধরণের খাবারসহ গবাদিপশু, মাছ ও হাঁস, মুরগির ও কবুতরের খাদ্য হিসেবে বাজারে ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
এ কারণে আমরা বেশি পরিমাণে ভুট্টা চাষ করছি। বাজারে দমিও ভাল, এতে করে কৃষক লাভবান হচ্ছে।”
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ জানান, চলতি মৌসুমে সদর উপজেলায় চার হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কৃষকদের লাভ ও আগ্রহের কারণে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।