পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিএনপি কর্মীর দায়ের করা নাশকতা মামলায় জাহিদুল ইসলাম নামে ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ১২ দিন ধরে কারাগারে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
ছাত্রদল নেতার পরিবারের দাবি, পারিবারিক শত্রুতার কারণে সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে আসামি করা হয়েছে।
কারাগারে থাকা জাহিদুল ইসলাম উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ঢেপসাবুনিয়া ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি। ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঘোষেরহাট বাজার থেকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন নেতাকর্মী। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিলে হামলা করে ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপির কর্মী কবির হোসেন বাদী হয়ে ৯ সেপ্টেম্বর ইন্দুরকানী থানায় মামলা করেন। ৪৯ আসামির তালিকায় বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। ৪৯ নম্বর নামটি ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলামের।
এদিকে মামলা থাকায় পুলিশ ২৭ ফেব্রুয়ারি তাকে আটক করে। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠালে জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। সেই থেকে কারাবন্দি জাহিদুল।
জাহিদুল ইসলামের বাবা সুলতান হাওলাদার জানান, তাঁর ছেলে ছাত্রদলের রাজনীতি করে। কিন্তু পারিবারিক শত্রুতার কারণে ওই মামলায় জাহিদুল ও তাঁর বড় ভাই রনিকে আসামি করা হয়েছে।
যদিও মামলার বাদী কবির হোসেনের দাবি, ভুলবশত জাহিদুলের নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্টে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আল-আমিন হোসেন বলেন, জাহিদুল ইসলাম ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের পর জেনেছেন, ওই মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।
তার নামটি ভুলবশত এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইন্দুরকানী উপজেলা ও বালিপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বাদীর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তার জামিনের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলমগীর কবির মান্নু জানান, নাশকতার ওই মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয় কিন্তু সেখানে ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের নাম কিভাবে অন্তর্ভুক্ত হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তার জামিন ও মামলা থেকে অব্যাহতির চেষ্টা চলছে।