আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব (প্রশাসন) এবং সিনিয়র জেলা জজ বিকাশ কুমার সাহা স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার জন্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার (১০ মার্চ) তিনি আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদত্যাগপত্র দাখিল করেন। পদত্যাগপত্রে তিনি আগামী ১০ এপ্রিল থেকে অবসরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা এই কর্মকর্তা গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পান এবং মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। এর পর থেকেই তার কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়ে এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বাইরে তাকে আর কোনো বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
পদত্যাগপত্রে বিকাশ কুমার সাহা উল্লেখ করেছেন, তিনি ১৯৯৪ সালের ২৫ এপ্রিল সহকারী জজ হিসেবে বিচার বিভাগে যোগদান করেন এবং ধারাবাহিকভাবে পদোন্নতি লাভ করে বর্তমানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সরকারি চাকরিতে তার মেয়াদ ২৫ বছরের বেশি হয়ে যাওয়ায় তিনি ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ধারা ৪৪ অনুযায়ী আগামী ১০ এপ্রিল ২০২৫ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিতে চান।
এর আগে, গত ২ মার্চ আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে একটি শোকজ নোটিশ প্রদান করা হয়। যদিও ঠিক কী কারণে এই শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তবে প্রশাসনিক মহলে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পদত্যাগের পেছনে সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা এবং মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এর আগে, তিনি আইন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন।
এদিকে, বিকাশ কুমার সাহার হঠাৎ এই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে নানা আলোচনা চলছে। কেউ কেউ এটিকে একটি প্রশাসনিক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ মনে করছেন, এটি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে যেকোনো কারণেই হোক, তার পদত্যাগ বিচার ও প্রশাসনিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?