কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি :
খুলনার কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি এম ইমদাদুল হকের প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে স্হানীয় বাসিন্দরা।
আজ সোমবার (১০ মার্চ) সকাল ১১ টায় কয়রা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।সেবার নামে হয়রানি বন্দ করো, করতে হবে।বদমেজাজি ওসির প্রত্যাহার চাই।কয়রা থানায় দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধ করো, করতে হবে।
সালিশি বাণিজ্য বন্ধ করো, করতে হবে লেখা সহ বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে দাড়িয়ে যান মানববন্ধনকারীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,২ নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা মোকলেসুর রহমান,ইউনুস আলী,রাসেল আহমেদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে মোকলেসুর রহমান বলেন,আমার মেয়ে শশুর বাড়িতে প্রায়ই নিগৃহীত হয়ে আসছে। সে কারণে অভিমানে কোথাও চলে গেছে হয়তো। মেয়ের সন্ধানের জন্য গত শুক্রবার ওসি স্যারের কাছে নিখোঁজ ডায়েরী করতে গেলে উল্টো তিনি আমাকে অপমান করেন।
এ সময় আমার সাথে থাকা আমার ফুফাতো ভাই ওসি স্যারের কথার প্রতিবাদ করলে তাকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।’ তিনি এ ঘটনার প্রতিকার দাবী করেন এবং ওসির প্রত্যাহারের দাবী জানান।
মানববন্ধনে ইউনুস আলী বলেন,আমার ভাতিজি শুশুর বাড়ী থেকে নিখোঁজ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে থানায় ডায়েরী করতে গেলে ওসি আমার ভাইয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।
এবং আমার ভাতিজিকে নিয়েও কটুক্তি করেন। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।ওসির এই হুমকিতে আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
মানববন্ধন চলাকালে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, কয়রা থানার ওসি সাধারণ মানুষদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। তিনি দালালদের কথা ছাড়া সাধারণ মানুষের কথা শুনতে চান না। গত ৫ আগষ্টের পর বর্তমান থানার তদন্ত কর্মকর্তা ওসির দায়িত্বে থাকাকালীন একটা সুন্দর পরিবেশ পেয়েছিল কয়রার মানুষ।
কিন্তু পরবর্তীতে ওসি এমদাদুল হক কয়রা থানায় যোগদানের পর থেকে থানায় দালালদের দৌরাত্ম বেড়ে গেছে। শেখ হাসিনা আমলের মতো মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। ওসি এমদাদুল হকের প্রত্যাহারের দাবি করেন তাঁরা।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?