সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের সদর উপজেলায় মস্তকবিহীন নারী হত্যার মামলায় স্বামী আশরাফুল ইসলাম ও গতকাল তার প্রথম স্ত্রী মেহেরুন বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গৃহবধূ হাসিনা বেগমের (৪৫) নৃশংস হত্যাকাণ্ডে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের মধ্যেই শনিবার (৯ মার্চ) আসামিকে কোর্ট পাড়ায় আটক করা হয়। ডিবি’র তদন্তে উঠে এসেছে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও সতীনের জড়িত থাকার প্রমাণ।
গত ৫ মার্চ মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ বামনটারী শ্মশান সংলগ্ন ভুট্টাখেতে হাসিনার দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তদন্ত জোরদার করে পুলিশ।
৬ মার্চ হাসিনার আত্মীয়দের শনাক্তকরণের পর আশরাফুলের বাড়ি থেকে রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করা হয়। ৭ মার্চ মেহেরুনকে এবং ৯ মার্চ আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৮ মার্চ এক তামাক ক্ষেত থেকে হাসিনার মাথা উদ্ধার হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আশরাফুল দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনাকে কাজের কথা বলে ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে হত্যা করে মাথা আলাদা করে মাটিচাপা দেয়। প্রথম স্ত্রী মেহেরুনের সাথে হাসিনার দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও আশরাফুলের ভূমিকা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি তদন্ত বাদল চন্দ্র বলেন, ‘‘হত্যার পেছনে পারিবারিক কলহ বা আর্থিক ইস্যু জড়িত থাকতে পারে। আশরাফুল একা নয়, অন্যের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
হাসিনার এক আত্মীয়ের ভাষ্য, ‘‘এত ভালোবাসার মানুষ কীভাবে এমন নিষ্ঠুর হলো, তা ভাবতেই অবাক লাগে।’’ স্থানীয় নারী নেত্রী সুলতানা আক্তার বলেন,
‘‘নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর শাস্তি ও সামাজিক সচেতনতা জরুরি।’’ ইতোমধ্যে ন্যায়বিচারের দাবিতে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় নারী সংগঠনগুলো।