আব্দুল্লাহ আল মানছুর,কুমিল্লা ব্যুরো :
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের পাতড্ডা বাজারে সরকারি খালের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করলেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সদস্য আবদুল হাই কানু।
লুদিয়ারা গ্রামের মৃত. ছলিম উদ্দিনের পুত্র আবদুল হাই কানু(৮০) বিগত ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের সময় রেলপথমন্ত্রী’র নির্দেশে চৌদ্দগ্রামে চালিয়েছে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী তান্ডব।
২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর চৌদ্দগ্রাম উপজেলাধীন পাতড্ডা বাজারে কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আবদুল হাই কানু(৮০) ও তারপুত্র গোলাম মোস্তফা বিপ্লবের নির্দেশে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে যুবলীগ কর্মী রানা(৩০)কে নির্মম ভাবে হত্যা করে।
শুধু তাই নয়,আব্দুল হাই কানুর নেতৃত্বে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন এর নির্দেশে এসআই আরিফ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ২০১৮ সালের ১৩ আগষ্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রোগ্রাম থেকে সাবেক চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমীর বীরমুক্তিযোদ্ধা
মো.আক্তারুজ্জাম্মান সহ ৮জনকে আটক করেন চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। আবদুল হাই কানু তৎকালীন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হকের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে স্থানীয় পাতড্ডা বাজারের উত্তর দিকে অবস্থিত সরকারি খালের প্রায় ৩০শতক জমি জোড় পূর্বক ভাবে দখল কওে কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেন।
সরকারী খাল দখলের পরবর্তীতে কুলিয়ারা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান মজুমদারের পুত্র ডালিম(৫০), মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র বাতিসা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রাশেদ, বাচ্চু মিয়া,কফিল উদ্দিন,লিটন, হেলাল উদ্দিন মেম্বার, আওয়ামীলীগ কর্মী সুফল,পাতড্ডা বাজারের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য জসিম,
আবুল হাশেম, সোলাইমান, আরিফ, ফরহাদ, ইসমাইলের সহযোগিতায় পাতড্ডা বাজার সরকারি খালের উত্তর অংশ ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
খাল ভরাটের ৩ মাস পর সেখানে চলে ভবন নির্মানের কাজ। স্বৈরাচার সরকারের সময় উপজেলা প্রশাসন সরকারি খাল ভরাট করতে বাঁধা প্রয়োগ করলেও থেমে যায় প্রশাসনিক আইনী ব্যবস্থা।
ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের দুর্নীতিবাজ রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হকের তৎকালীন চাটুকার কর্মী কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সদস্য গড়ে তোলেন অর্থের পাহাড়।
প্রত্যেক দোকান থেকে অগ্রীম বাবদ এক লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন কৃষকলীগ সদস্য আবদুল হাই কানু ও তারপুত্র গোলাম মোস্তফা বিপ্লব।
প্রতিমাসে লুদিয়ারা গ্রামের যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন মেম্বার, গোলাম মোস্তফা বিপ্লব ও আব্দুল হাই কানু ও তাহার আপন ভাই বজল ডিলারসহ আওয়ামী যুবলীগের অন্যান্যরা অবৈধ স্থাপনা’র প্রায় ৫০টি দোকান থেকে দুই হাজার টাকা করে মাসিক এক লক্ষ টাকারও বেশি ভাড়ার নামে চাঁদা উত্তোলন করার অভিযোগ এসেছে।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জাকিয়া সরওয়ার লিমা প্রতিবেদককে বলেন-উক্ত বিষয়ে পূর্বে জানা ছিল না বিধায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারিনি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি চৌদ্দগ্রামের এসিল্যান্ড পূর্ব থেকে এ বিষয়ে অবগত রয়েছেন।
আব্দুল হাই কানুসহ আওয়ামীলীগের অন্যান্য চাঁদাবাজদের বিষয়ে ভুক্তভোগী স্থানীয় মিন্টু ও সিরাজুল ইসলাম বলেন-বিগত আওয়ামীলীগের আমলে নৈরাজ্য হামলা মামলা চালিয়েছে কানু বাহিনী।
সরকারি জমি দখল করে অবৈধ পক্রিয়ায় স্থাপনা নির্মিত করে প্রত্যেক দোকান মালিক/ ভাড়াটিয়াদের থেকে সর্বমোট এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের সময় অপরাধীদের বিচার হোক আমরা নিরীহ মানুষ তা কামনা করি।