নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার মদনে ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে আহত বড় ভাই দ্বীন ইসলাম (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের লাঠি আঘাতে আহত হন বড় ভাই দ্বীন ইসলাম।
নিহত দ্বীন ইসলাম উপজেলার মদন সদর ইউনিয়নের কাপাসাটিয়া গ্রামের মৃত মুর্তজ আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই ভাইয়ের বাড়ির সীমানা নির্ধারণী ইট স্থাপন করে ছোট ভাই সম্রাট। বড় ভাই দ্বীন ইসলাম এসে এটিকে তার জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেন। পরে দ্বীন ইসলাম ইটটি সরিয়ে ফেলে। এ নিয়ে ছোট ভাই সম্রাটের সাথে তার তর্ক বিতর্ক হয়।
এক পর্যায়ে ছোট ভাই সম্রাট ক্ষিপ্ত হয়ে তার পরিবারের জন্য আক্রমণ করে। পরে উভয় পরিবারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে দ্বীন ইসলাম গুরুতর আহত হন। পরে তার পরিবারের লোকজন স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়।
তার অবস্থা আশঙ্কাজনক কর্তব্যরত চিকিৎসক থাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। শুক্রবার দুপুরে দ্বীন ইসলাম সেখানে মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের শ্যালিকা মোমেনা আক্তার বলেন, আমার ভগ্নিপতি জায়গায় সম্রাট বাড়ির সীমানা অতিক্রম করে ইট বসায়। ইটটি তিনি উঠিয়ে ফেলে দেওয়ার কারণেই সম্রাট তার পরিবারের লোকজন নিয়ে এ্যালোপাথারি মারধর করে। শুক্রবার তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
আমরা ভগ্নিপতির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা আইনের আওতায় আনার হোক। সেই সাথে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, কাপাসাটিয়া গ্রামের দ্বীন ইসলাম নামে একজন ব্যক্তি তার ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে আহত হয়ে শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।