সাভারের আশুলিয়ায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাথালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শাওনের বাড়িতে হামলা চালায় এবং তার বাবা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জামানকে মারধর করে।
বুধবার বিকেলে ও রাতে দফায় শত শত কিশোর-যুবক নিয়ে মহড়া দেয়ার পাশাপাশি হামলার ঘটনায় এলাকাসাবীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সিসিটিভি ও মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শতাধিক কিশোর-যুবক দেশীয় অস্ত্রসহ এলাকায় মহড়া দিয়ে ছাত্রদল নেতা শাওনের খোঁজ করছে। এ সময় তারা শাওনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালিও করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী পাথালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শাওন বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বুধবার বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলামের লোকজন আমার বাড়িতে ২ দফায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বিকেলে তারা আমার বাবার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে।
এ সময় আমার ছোট বোন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করে এবং ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে ডিভিআর মেশিন নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় রাত ৮টার দিকে আবারও হামলা চালায় তারা।
স্থানীয়রা জানায়, রাজনৈতিক বিরোধ থেকেই এই হামলার সূত্রপাত। আধিপত্ত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনায় জড়িয়ে পড়ছে এলাকার কিশোর-যুবকরা। এতে করে দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে আরও বড় ধরনের হামলা কিংবা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
তাই অবিলম্বে রাজনৈতিক অথবা প্রশাসনিকভাবে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব নিরসন করে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে দেশীয় অস্ত্র এবং লোকজন নিয়ে হামলার বিষয়ে জানতে পাথালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল হক ডাবলুর সরকারী মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে বন্ধ পাওয়া গেছে।