সাইফুল ইসলাম, কয়রা, (খুলনা) প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন-রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির বারতা নিয়ে আবারো আমাদের মাঝে হাজির হয়েছে মহিমান্বিত মাস পবিত্র মাহে রমজান।
তাই এ মাসে যথাযথভাবে সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাধ্যমে নিজেদের গুনাহ মাফে আত্মনিয়োগ করতে হবে।পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে কুরআনের জ্ঞান অর্জন এবং সেই অনুযায়ী নিজের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন গড়ে তোলার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করার মাধ্যমেই সত্যিকার অর্থে পবিত্র রমজান মাসের হক আদায় করা সম্ভব হবে।
তিনি প্রান্তিক শ্রেণির রোজাদারদের সিয়াম পালমে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য সমাজের সহৃদয় ও বিত্তবান মানুষকে এগিয়ে আসার আহবআজ ৪ মার্চ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, কয়রা উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ইসলামি ছাত্রশিবির ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কর্মীদের নিয়ে পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা শেখ সাইফুল্লাহ সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি মোল্যা শাহাবুদ্দিন, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, কয়রা সদর ইউনিয়ন আমীর মুহা: মিজানুর রহমান, বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা আবু তাহের সহ অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ।
উপজেলা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, মূলত রমজান মাস আত্মশুদ্ধি ও আত্মগঠনের মাস। এ মাসে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল হয়েছিলো বলেই এ মাসের মর্যাদা সমধিক। তাই এ মাসকে কুরআনের মাসও বলা হয়।
পক্ষান্তরে মাহে রমজানে কুরআন নাযিল হওয়ার কারণে এ মহাগ্রন্থের মর্যাদাও সর্বোচ্চ পর্যায়ের। হাদিসে রাসূল (সা.)-এ উদ্ধৃত হয়েছে, ‘সে ব্যক্তিই হতভাগ্য যে রমজান মাস পেলো অথচ সে নিজের গোনাহ মাফ করে নিতে পারলো না’।
তিনি এ মোবারক মাসে নিজেদের গোনাহ মাফ করে নিয়ে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানোর সকলের প্রতি আহবান জানান।