মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুরের গাংনীর বেতবাড়িয়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলের শশুরবাড়ির লোকজনের হামলায় আহত গৃহবধু মাহফুজা খাতুনের মৃত্যু ঘটেছে। শনিবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গৃহবধু মাহফুজা খাতুন ওই গ্রামের আব্দুর রশীদের স্ত্রী।
পারিবারিক ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বছর চারেক আগে আব্দুর রশীদের ছেলে সোহেল রানার বিয়ে হয় প্রতিবেশী শওকত আলীর মেয়ে পিংকীর সাথে। পিংকী প্রতিবন্ধী হওয়ায় সোহেল রানা ও তার পরিবারের লোকজনের মাঝে মনোমালিন্য চলে আসছিল। গত বৃহষ্পতিবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রশীদ ও শওকত আলীর পরিবারের মধ্যে কয়েক দফা কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন উভয় পক্ষকে নিবৃত করলেও শওকত আলীর পরিবার ফুঁসে ওঠে।
পরে সন্ধ্যা রাতেই শওকত আলীর পরিবারের লোকজন রশীদের বাড়িতে হামলা চালায় । এতে আহত মাহফুজা খাতুন ও তার স্বামী রশীদ। প্রতিপক্ষের লোকজন মাহফুজার পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়ার পর মাহফুজাকে প্রেরণ করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাতে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে মাহফুজা হত্যকান্ডের অভিযোগ তুলে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে তার ছেলে রাসেল। মামলার ৩নং আসামি আসাদ মোল্লা (৪৫) ও ১৬ নং আসামি জালাল মোল্লা ওরফে ঝাড়–কে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানি ইসরাইল জানান, নিহতের ছেলে ১৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলার দুজন আসামিকে গ্রেফতার করে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।