নাজমুল হক চৌধুরী, নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নে নিজের শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মা শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই পালাতক রয়েছে মা। শনিবার (১ মার্চ) দিবাগত রাত ১০ টার দিকে আমিরগঞ্জ ইউনিয়নে এই ঘটে না ঘটে।
জানা যায়, নিহত তিন বছরের শিশু বাচ্চাটির নাম আনাস মিয়া। সে একই গ্রামের প্রবাসী ডালিম মিয়া ও শিরিন আক্তারের একমাত্র সন্তান। শিরিন আক্তার মানসিক ভাবে একটু ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে ধারনা করে প্রতিবেশীরা, তবে পরিবার এই বিষয়ে কিছুই বলেনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে শিরিনের ঘর থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে ছুটে আসলে দেখতে পান নাতির রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গেই পালিয়ে যায় শিরিন। পরে ওনার চিৎকার করে পাড়া প্রতিবেশীকে ডাকেন। সবার ধারণা করা হচ্ছে, মা শিরিনই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
আরও জানা যায়, পাঁচ বছর আগে একই উপজেলার হাইরমারা এলাকার শিরিন বেগমকে বিয়ে করেন ডালিম মিয়া। বিয়ের তিন বছর পর জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তিনি। এরপর শিরিন তাদের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আদিল মাহমুদ বলেন, আমিরগঞ্জ ইউনিয়নে শিশু বাচ্চাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটিনায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মা ঘটনার পর থেকে পালাতক। কি কারনে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।