নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় এক রাতে দুই কৃষকের ১০ গরু চুরি হয়েছে। গরু গুলো উদ্ধার করতে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও পাননি তারা। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার গড়াদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বেশ কিছু দিন ধরে প্রায়ই উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই আবার রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে তাদের গরু ছাগল।
চুরি যাওয়া গরুর মালিক উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের গাড়াদিয়া গ্রামের কৃষক চাঁন মিয়া ভূইয়া ও আব্দুস সাত্তার।
স্থানীয় ও কৃষকদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলায় চুরির উপদ্রব বেড়েছে। তবে কার্যত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না প্রশাসন। শুক্রবার রাতে উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের গাড়াদিয়া গ্রামের মৃত নুরু হোসেন ভূইয়ার ছেলে চাঁন মিয়ার পাঁচটি গরু চুরি হয়।
একই রাতে পার্শ্ববর্তী মৃত আসন আলীর ছেলে কৃষক আব্দুস সাত্তারের গোয়াল ঘর থেকেও পাঁচটি গরু চুরি হয়। উপজেলায় সাম্প্রতি গরু চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন। ভুক্তভোগীরা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দাবি জানিয়েছেন।
কৃষক চাঁন মিয়া জানান, গতরাত ১টা পর্যন্ত আমরা সজাগ ছিলাম। ভোর রাতে চোরেরা গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে গরুগুলো নিয়ে যায়। এ চুরির ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তিনি। এ চুরির ঘটনায় আমার প্রায় সাত লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শাহ আলম জানান, তার ছোট ভাই গোয়াল ঘরেই রাতে থাকে। শুক্রবার সে বাড়িতে ঘুমায়। ফজরের নামাজের সময় ঘুম থেকে উঠে তারা গোয়াল ঘরের দরজা খোলা দেখেন। পরে ভেতরে গিয়ে দেখেন তাদের পাঁচটি গরু নেই।
কৃষক আব্দুস সাত্তার জানান, শুক্রবার রাতে গোয়াল ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য ধোঁয়ার ব্যবস্থা করে তালা দিয়ে ঘরে এসে ঘুমিয়ে যান। সকালে গোয়াল ঘরে গিয়ে তালা ভাঙ্গা দেখতে পান। পাঁচটি গরু চোরেরা নিয়ে যায়। এ চুরির ঘটনায় আমার প্রায় আট লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, গরু চুরির ঘটনা বন্ধে আমরা বদ্ধপরিকর। চুরি বন্ধের জন্য পুলিশ রাতে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।