মিজানুর রহমান ,গলাচিপা প্রতিনিধিঃ
গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের হরিদেবপুর বাস স্ট্যান্ডে। আদালতের রায় উপেক্ষা করে গভীর রাতে আজাহার হাওলাদার (৭০)নামের এক ব্যক্তির প্রায় ৩০ বছরের পুরানো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকান ঘরসহ জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে শাহিদা(৩৫) রফিক(৫৫), আবু বসার (৪০), ইমরান (২৫) গংদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জোর জবরদখলকারীদের সন্ত্রাসী হামলার আতঙ্কে দিন কাটছে ভুক্তভোগী পরিবারের।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে মুখ খুলছে না কেউই। অসহায় স্থানীয় বাসিন্দারা এবং ভুক্তভোগীরা।
এমন অভিযোগ উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ছোটগাবুয়া গ্রামের ভুক্তভোগী আজাহার হাওলাদার ও ছেলে আবুল বাশারের।
তারা জানায় ১৯৯৮ সালে আব্দুল লতিফ গংয়ের ওয়ারিশ দুই পুত্র সোবাহান খন্দকার এবং মোকসেদ খন্দকার পৈত্রিক সূত্রে ৪ আনা অংশের মালিক ও বিরোধীয় দাগের হিস্যা মতে ৮.২৫ শতাংশ ভূমির মালিক বিদ্যমান থাকিয়া আমাদেরকে অর্থাৎ আজাহার হাওলাদারকে ৩.৭৫ শতাংশ ভূমির দলিল এবং দখল বুঝাইয়া দেন এবং পটুয়াখালী সহকারী জজ আদালত কর্তৃক সোলেনামা রায় ডিগ্রি হাসিল করেন।
আমরা ক্রয় করার পরে ১৯৯৮ সাল থেকে দোকান ঘর নির্মাণ করে মোদি- মনোহারী, ষ্টেশনারী, লোহা-লস্কর ও জাল সুতার ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছিলাম। এরপরে প্রতিপক্ষের সাথে ঝামেলা হলে আমরা প্রথম বিজ্ঞ আদালতের রায় ডিগ্রী পাই ২০১২ সালে এবং ২০১৩ সালে আমরা রেকর্ড ও খারিজ করাইতে গেলে ওরা আমাদের বিরুদ্ধে এসিল্যান্ড অফিসে আপত্তি জানায় সেখানেও ওরা হেরে যায় এবং কাগজপত্র অনুযায়ী আমাদের নামে অর্থাৎ আজহার হাওলাদার এর নামে ৩.৭৫ শতাংশ জমি রেকর্ড হয়।
এরপর একাধিকবার গলাচিপা থানায়, ইউনিয়ন পরিষদে, হরিদবপুরে হালিম মেম্বারের ঘরে এবং সবশেষ পটুয়াখালী উকিল বারে উভয় পক্ষের চারজন করে সম্মানিত আইনজীবী নিয়োগের মাধ্যমে সালিশ মীমাংসায় বসার পরে কোথাও কোন সঠিক কাগজপত্র না দেখাতে পেরে ২০১৮ সালে আমাদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে পাওয়া রায় ডিগ্রির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাতেও তারা হেরে যায়। আমরা মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে রায় পাই। যাহার দেওয়ানী মোকদ্দমা নাম্বার ৩০/২০১৮। মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট আমাদের ২০১২ সালের রায় ডিগ্রী বহাল রেখে তাদের সকল আবেদন স্থগিত ও খারিজ করে দেয়।
এই সকল ঝামেলার মূল ব্যাপার হচ্ছে ওদের অর্থাৎ সাহিদা গংদের দলিল দাতা আব্দুর রশিদ এর ওয়ারিশ মিলন চৌকিদার এবং নুরুল আমিন চৌকিদারসহ অন্যান্যরা ওই দাগে মোট জমি পেয়েছে ৬.৫০ শতাংশ অথচ তারা বিক্রি করেছে ২৬ শতাংশ।
৬.৫০ শতাংশের মালিকও সবাই তাদেরকে দলিল হস্তান্তর করে নাই। সেই দলিল অনুযায়ী তারা জমি পায় ৬ শতাংশেরও অনেক কম। অথচ এই শাহিদা গং সেই ২৬ শতাংশ পুরাটা ভোগ দখল করতে চাইছে অথচ তার মালিকই পেয়েছে ৬ শতাংশেরও অনেক কম। আর আমার দলিল দাতা জমি পেয়েছে ৮.২৫ শতাংশ সেখান থেকে আমরা ক্রয় করেছি ৩.৭৫ শতাংশ।
এই সাহিদা গংদের দলিলদাতারাই তো ২৬ শতাংসের মালিক নয় সেটা বুঝেও জোর দখল করে ২৬ শতাংশ পুরাটা ভোগ দখল করতে চাইছে আর এটা নিয়েই যত গন্ডগোল আমাদের সাথে, শিবু দাসের সাথে,তোফাজ্জল খন্দকারের সাথে,সালাম মৃধার সাথে, আরও বিভিন্ন মানুষের সাথে। সব জেনে ও বুজেও জোর দখল করে ভোগ দখল করতে চাইতেছে এবং ঝামেলা গুলো সৃষ্টি করতেছে। কাগজপত্র এবং স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার অনুযায়ী এই জায়গার মালিক আজাহার হাওলাদার এবং এখানেই তাদের প্রায় ৩০ বছরের পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকান ঘর ছিল।
এই প্রতিবেদনে জানা যায় যে, প্রায় ৩০ বছর ধরে ক্রয় সূত্রে এই জমিটি আজাহার হাওলাদার ভোগ দখল ও সুনামের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে বলে জানায় স্থানীয়রা।