চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :
দামুড়হুদা উপজেলার আটকবর ক্লিনিকে অ্যাপেন্ডিক অপারেশনের পর পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বেলা দুইটার দিকে ভর্তি হলে অপারেশনের পর রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া হোসনিয়ারা খাতুন (১১) আটকবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ও একই উপজেলার বোয়ালমারী ফকির পাড়ার হোসেন আলীর মেয়ে।
ওই ছাত্রীর মৃত্যুর পর সোমবার বেলা তিনটার দিকে ক্লিনিকের কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার নিপা আটকবর ক্লিনিক সিলগালা করার নির্দেশ দেন। সেই সাথে ডা. রিচার্ড স্মরণের সার্টিফিকেট নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার বোয়ালমারি ফকির পাড়ার হোসেন আলীর মেয়ে হোসনিয়ারা খাতুনের তলপেটে ব্যথা উঠলে আটকবর ক্লিনিকে নিয়ে যায়। আটকবর ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার পরিবারের লোকজনকে জানান, তার এপেন্ডিক হয়েছে।
খুব দ্রুত অপারেশন করতে হবে। মেয়ের সমস্যার কথা শুনে হাসেন আলী তাকে গত শনিবার বেলা দুইটার দিকে আটকবর ক্লিনিকে ভর্তি করেন। আটকবর ক্লিনিকে কোনো এনেস্থেসিয়া ডাক্তার না থাকায় ডা. রিচার্ড স্মরণ ক্লিনিক মালিকের সহযোগিতায় তাকে অজ্ঞান করে রাত ১১টার দিকে অপারেশন করেন। পরে হোসনিয়ারার আর জ্ঞান ফেরেনি।
পরে রোগীর লোকজনের সন্দেহ হলে বিভিন্ন ডাক্তার দিয়ে চেকআপ করে জানতে পারে তার মৃত্য হয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, ঘবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো।। মারা যাওয়া স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, কোনো এনেস্থিসিয়া ডাক্তার না থাকায় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আটকবর ক্লিনিকের কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে। ডা. রিচার্ডের সার্টিফিকেট দেখানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।