আক্কাছ আলী, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ গণ ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করে ৩ যুবক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর মধ্যে দুই যুবক বৃহস্পতিবার বিকালে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জুলফিকার হোসাইন রনি এর নিকট স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।এর আগে আটক অপর যুবক দোষ স্বীকারকরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে বিষয়টি শুক্রবার সাড়ে ১১ টার দিকে নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ আদালতের কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক রাশেদ খান চৌধুরী।
তিনি বলেন গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় আটক ৩ যুবক দোষ স্বীকার করে জবান বন্দি দিয়েছে। এর মধ্যে দু-জন বৃহস্পতিবার বিকালে এবং একজন এর আগ জবানবন্দি প্রদান করেন।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট এলাকায় ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে ভুক্তভোগী গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হণ। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে ট্রলারে ওঠার পর যাত্রীবেশী তিন যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পদ্মা সেতু উত্তর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পরে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ইয়ামিন মুন্সী (১৯), জামাল মোল্লা (২৩) ও জব্বার শেখকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জনৈক গৃহবধূ তার স্বামীসহ পদ্মা সেতু (উত্তর) থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে মামলা রুজু করে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করে।
পরদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি পদ্মা নদীর পাড় থেকে অভিযুক্ত জামাল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আসামিরা জানান যে, ভুক্তভোগী গৃহবধূ পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট থেকে তার স্বামীর বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে ঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষা করাকালে অভিযুক্ত আবু বকর সিদ্দিক ও জামাল মোল্লা তাকে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ট্রলারে উঠায়।
পথিমধ্যে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বার ট্রলারে ওঠে। সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে নদীপথে নির্জনতার সুযোগে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক জনমানবহীন পদ্মা নদীর ডোমরাখালী চরে নিয়ে চারজন মিলে ধর্ষণ করে।