চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
সন্ত্রাসী কার্যক্রম আগে চলে আসলেও বর্তমানে চাঁদাবাজি ডাকাতি ছিনতাই চুরিসহ নানা ধরনের অপরাধে ভাসছে চুয়াডাঙ্গা। এতে প্রশাসনিকভাবে কোনো পদক্ষেপ না থাকায় এ জেলায় অনাকক্সিক্ষতভাবে বেড়ে উঠেছে ওইসকল বিভিন্ন অপরাধ।
তারই অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় জালাল উদ্দীন (৪৯) নামের এক প্রবাসফেরতের বাড়িতে চাঁদার দাবিতে চিরকুট প্রেরণ করেছে ১২/১৩ জনের একটি ডাকাত দলের সদস্যরা।
এ ঘটনার নিরাপত্তা চেয়ে জালাল উদ্দীন দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
তবে সময়মতো চাঁদার এক লাখ টাকা ও গচ্ছিত স্বর্ণ না দিলে হত্যার হুকমি দেয়া হয়েছে পুরো পরিবারটিকে।
জালাল উদ্দিন দামুড়হুদা উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামের মৃত আমির শেখের ছেলে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বসত বাড়ির ভিতরে একটি লাল কালি দিয়ে লেখা চিরকুট বাড়িতে ফেলে যায় দুবৃত্তরা। পরদিন বুধবার সকালে পরিবারের সদস্যদের নজরে আসে। চিরকুটে দুর্বৃত্তরা ১৩ জন সদস্য উল্লেখ করে নগদ এক লাখ টাকা, দুই জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, এক জোড়া স্বর্ণের চেইন ও এক জোড়া স্বর্ণের বালা চাঁদা দাবি করে।
চিরকুটে আরও বলা হয়, গতকাল বুধবার রাত ১২টার ভেতর দাবিকৃত টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার না দেয়া হলে জালালসহ তার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলা হবে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জালাল উদ্দীন বলেন, আমি দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় ছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পর কৃষিকাজ করে জীবনযাপন করছি। চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। গতকাল বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) হুমায়ুন কবীর নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিন একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে অভিযুক্তদের শনাক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।