সজিব রেজা,দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেললাইন থেকে হাত বাঁধা ও মাথা বিচ্ছিন্ন একটি লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে থানা-পুলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় তিনি আওয়ামী লীগ নেতা। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার হলদিবাড়ী রেলগেটের অদূরে দক্ষিণে ৩৭৬/৮ নম্বর রেলখুঁটির কাছে ট্রেনে কাটা লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যাক্তি হলেন ভরত চন্দ্র রায় (৫০)। তার বাড়ী পার্বতীপুর উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর কুমারপাড়া গ্রামে। নিহত ভরত চন্দ্র রায় মৃত সন্তোষ চন্দ্র রায়ের ছেলে। তার দুই হাত প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বাঁধা ছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হাত বেঁধে রেলওয়ে লাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছিল। পরে রাতের কোনও ট্রেন তার ওপর দিয়ে চলে যাওয়ায় মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
নিহত ব্যক্তির পরিবার সূত্র জানায়, ভরত চন্দ্র রায় গত সোমবার সকাল ৯টার দিকে পার্বতীপুরে যান। সন্ধ্যার পর থেকে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ ছিল। ভরত চন্দ্র পার্বতীপুর রেলওয়ের খালাসি পদে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত ছিলেন।
নিহত ব্যক্তির ছেলের বউ বলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারী সকালে পার্বতীপুর যায় তার শ্বশুর । ১৭ তারিখ তার বেতন পাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে তার কেনো খোঁজ ছিলো না। ১৮ তারিখ সকাল থেকে খোঁজাখুজি করতে তারা রেল লাইনে মানুষ জমায়েত দেখে এসে দেখেন তার শ্বশুরের মৃত্য দেহ মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে আছে।
স্থানীয় লোকজন আজ সকাল ৮টার দিকে হলদিবাড়ী রেলগেটের দক্ষিণে মাথা কাটা ও হাতে রশি বাঁধা অবস্থায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। সকাল ৯টায় পার্বতীপুর রেলওয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্বিখণ্ডিত ওই মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর তাঁর পরিচয় শনাক্ত হয়।
পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ওসি মো. ফখরুল ইসলাম জানান, দুর্বৃত্তরা ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে রেললাইনের ওপর ফেলে যাওয়ার পর মাথা বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহ উদ্ধার করে দিনাজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সৈয়দপুর রেল জেলার অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ফারহাদ আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে।