রাজধানীর উত্তরা-৭ নম্বর সেক্টরে প্রকাশ্যে তরুণ-তরুণীকে কুপিয়ে জখম করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয় বাসিন্দা ও অনলাইনে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি ধারালো রামদা হাতে নিয়ে দুই তরুণ-তরুণীর ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। তারা চিৎকার করলেও হামলাকারী নির্দয়ভাবে তাদের কোপাতে থাকে।
উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, একটি প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের পর বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এরপর প্রাইভেট কারের চালক ও তার সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে রামদা বের করে মোটরসাইকেল আরোহীকে আঘাত করে। আশপাশের লোকজন তাৎক্ষণিক হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে ধরে গণধোলাই দেয় এবং পরে পুলিশে সোপর্দ করে।
পুলিশ আরও জানায়, আহত দুই ভুক্তভোগীকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। তিনি বলেন, “যারা হামলা চালিয়েছে তারা স্পষ্টতই সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। এই ঘটনার পেছনের কারণ ও হামলাকারীদের উদ্দেশ্য তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে। আহতদের চিকিৎসা চলছে, আমরা সবকিছু খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছে বিভিন্ন মহল।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?