নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরে বন্ধু রবিউল ইসলাম রবিকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা মামলায় ইব্রাহিম হোসেন নামে এক কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছে আদালত। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১ টায় নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোঃ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ইব্রাহিম হোসেন গুরুদাসপুর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের আব্দুল গফুুরের ছেলে।
নাটোর জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার টগর মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল কাঁথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বন্ধু রবিউল ইসলাম রবিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও হাত কেটে হত্যা করে ইব্রাহিম হোসেন। পরে রবির মরদেহটি রশিদপুর চাকলা বিলের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
এদিকে রবিউল ইসলাম রবিকে খুঁজে না পেয়ে তার বাবা গুরুদাসপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। পরে ওই বছরের ২ মে চাকলা বিল থেকে রবিউলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর নিহত রবিউল ইসলাম রবির বাবা আজিজুল হক বাদী হয়ে ইব্রাহিম হোসেন সহ জ্ঞাত ও অজ্ঞাত ৬/৭ জনের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ইব্রাহিম হোসেন ও মারুফ নামে দুই জনকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ তদন্ত করে ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক অভিযুক্ত ইব্রাহীম হোসেনকে কিশোর অপরাধ হিসাবে ১০ বছরের আটকাদেশ দেন।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?