মেহেদী হাসান, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন ইমুকে (সেশন: ২০১৭-১৮, সমাজকর্ম বিভাগ) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক হত্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) লক্ষীবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলার বাদী হচ্ছেন নাসরিন বেগম এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফাহাদ।
কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইমরান হোসেন ইমু দীর্ঘদিন ধরে কলেজের সামনে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
এ বিষয়ে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল বলেন, “ইমু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার এডমিট কার্ড আটকে রেখে অর্থ আদায় এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি করতো। সে একজন কুখ্যাত অপরাধী।আমরা কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থীর ওপর অন্যায় ও জুলুম হোক সেটা চাই না, তবে ছাত্রলীগের মধ্যে যারা প্রকৃত অপরাধের সঙ্গে জড়িত এবং সহিংস ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
অভিযুক্ত ইমরান হোসেন ইমুর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সূত্রাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, তদন্ত সাপেক্ষে ইমরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাকে নিয়মিত আদালতে প্রেরণ করা হবে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন সর্বদা সক্রিয় রয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?