সম্প্রতি গত শুক্রবার রাতে ফ্যাসিস্ট সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি না হয় তাই স্থানীয় শিক্ষার্থী এবং সমন্বয়কেরা উক্ত স্থান পরিদর্শনে যান। এসময় তাদের ওপর হামলা চালায় ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দলটির সন্ত্রাসীরা।
ঘটনার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করে নিয়ে যায়। আর এতেই যেন গাত্র দাহ শুরু হয়েছে তথাকথিত কিছু সংবাদমাধ্যমের। যারা মূলত এখনও আওয়ামী দালালি চালিয়ে যাচ্ছে সমানভাবেই। সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যম ফলাও করে অপপ্রচার চালায় যে পুলিশের ধর-পাকড়ে গ্রাম ছাড়া এলাকাবাসী।
এহেন কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রচারে তারা স্থানীয় জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও বিষয়টিকে একেবারেই নাকচ করে দিয়েছে এলাকাবাসীরা।
এলাকাবাসীর দাবি বিভিন্ন বাহিনী এবং রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল আওয়ামীলীগের এইসব সন্ত্রাসীরা। তারা পরিকল্পিতভাবে এইসব শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় এবং আহত করে ২০ জনের অধিক শিক্ষার্থীকে।
এদিকে এমন ঘটনার পর থেকেই দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। এতে এলাকা ছাড়া হয়েছে আওয়ামী এইসব গুন্ডাবাহিনী। বর্তমানে বেশ স্বস্তিতেই আছে স্থানীয় জনগণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন জানান, হাসিনার পতনের পরই সুবিধায় থাকা দলগুলোর আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে এবং প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তার ছায়াতলে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করে যাচ্ছিল তারা।
তবে সরকারের নতুন এই পদক্ষেপের কারনে বর্তমানে অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছেন তারা। বিতারিত হয়েছে এইসব আওয়ামী দালালেরা।
ইতোমধ্যেই আটক করা হয়েছে বেশকিছু সন্ত্রাসীকে। এছাড়াও চলমান থাকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। ফলে এখন পালিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে তারা। তবে তাতে মোটেই ভীত নন এলাকাবাসীরা। একত্রে এসব হায়েনাদের দমনে বদ্ধপরিকর তারা।
তবে তারা দাবি করেন, এখনও আওয়ামী দালালি করে যাচ্ছে কিছু মিডিয়া। তারা সাফাই গাচ্ছে আওয়ামীলীগের পক্ষে। গ্রামের সাধারণ জনগণকে নানাভাবে চেষ্টা করছে আতঙ্কিত করার।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?