বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, হাসিনার ইচ্ছা করেছিল আজীবন ক্ষমতা চালাবে। পতনের চারদিন আগে ইসলামপন্থী দল জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে। চার দিন পর হাসিনার পতন হয়। আল্লাহতালা জামাত সেবা শিবির কে মাকামের উচ্চ মর্যাদা দান করেছেন।
হাসিনা যেখানকার মাল সেইখানেই চলে গেলো। নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন করেন কোথাকার মাল? উত্তরের তিনি আবার বললেন দিল্লির মাল দিল্লিতেই চলে গেলো। ঐখানে গিয়ে তিনি শান্তিতে আছেন? অশান্তির আগুনে জ্বলছে আর ষড়যন্ত্র করছেন। উস্কানীমূলক কথা বলছেন, উস্কানীমূলক বক্তব্য দিচ্ছে।
বিভিন্ন এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের দোসরা প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তারা ঘাটতি মেরে বসে আছে।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর শনিবার দুপুরে নেত্রকোনার মোক্তারপাড়া মাঠে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এখানে ফ্যাসিবাদের দোসর কারা তাদের আচরণ ও কথাবার্তা দেখে কিন্তু বোঝা যায়। প্রশাসনের অনেকের আচরণে এখনো ফ্যাসিবাদের গন্ধ আছে। প্রশাসনের সব জায়গায় আগে পরিষ্কার করুন। আমরা যদি ১৫ বছর অপেক্ষা করতে পারি নির্বাচন দুই ছয় মাস আগে হলো না পরে হলো এটা বিষয় না।
নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে কিনা ওইটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু নির্বাচন করতে সময় লাগবে জামায়াতে ইসলামী সেই সময় দিতে প্রস্তুত আছে। আমরা তাড়াহুড়ার পক্ষে নয়। আমরা অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রধানকে বলতে চাই আপনি নির্বাচনের জন্য যে সম্ভাব্য যে সময় বলেছেন সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করুন।
খুনিদের বিচার নিশ্চিত করুন। তারপর আপনি নির্বাচন করুন। সেই নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী সরকারকে সমর্থন করবে।
সম্মেলনে নেত্রকোনা জেলা আমির মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে অন্যান্য মাঝে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ আঞ্চলিক প্রধান ড. সামিউল হক ফারুকী সহ প্রমূখ।
সম্মেলন ঘিরে সকাল থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জেলার ১০ উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেন নেত্রকোনার মোক্তারপাড়া মাঠে।