নীলফামারী সদরের গোরগ্রাম ইউনিয়নে জহুরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত জহুরুল ওই ইউনিয়নের কির্ত্তীনিয়া পাড়া (ডাঙ্গা পাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান এর ছেলে সে পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী।
এ ঘটনায় জহুরুলের স্ত্রী রুমা বেগম বাদী হয়ে নীলফামারী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম আর সাঈদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জহুরুল গতকাল বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ী থেকে বের হয়ে একই উপজেলার গোরগ্রাম ইউনিয়নের হাজীগঞ্জ বাজারে প্রতিদিনের মতো রাত অনুমান ১১.০০ টা পর্যন্ত বিভিন্ন কাজে অবস্থান করেন।
পরবর্তীতে সে নিজ বাড়ীতে ফিরেন নাই। আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রয়ারী) সকালে পার্শ্ববর্তী বড়াইবাড়ী গ্রামের কাঁচা রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গায় একটি ভুট্টা ক্ষেতে তার মরদেহ কাঁদামাটি লাগানো অবস্থায় দেখতে পায় পথচারি ও স্থানীয়রা।
নিহতের স্ত্রী রুমা বেগম জানায়, গতকাল আমার স্বামী সন্ধ্যায় বাড়ী থেকে হাজীগঞ্জ বাজারে এলে আর বাড়ী ফিরে যায় নাই। সারারাত অনেক খোঁজাখুঁজির পর আজ সকালে তার মরদেহ গ্রামের লোকজন রাস্তার পাশে একটি ভুট্টাক্ষেতে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।
নীলফামারী সদর থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুমা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য (পোস্টমর্টেম) নীলফামারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, বাদীর মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ মাঠে তদন্তে নেমেছেন।