শাবিপ্রবি প্রতিনিধি :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) বুলডোজার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়াসহ ছাত্রদের ৩য় হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের মূল ফটকের নামফলক খুলে ফেলেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টায় সিলেট শহর থেকে বুলডোজার নিয়ে এসে ম্যুরাল ভাঙা হয়। গতকাল রাত ৯ টায় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর; হই হই রই রই ছাত্রলীগ গেলো কই; জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো; আমার সোনার বাংলায়, মুজিববাদের ঠাই নাই; চব্বিশের বাংলায়, মুজিববাদের ঠাই নাই; ছাত্রলীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; মুজিববাদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; শাহজালালের তলোয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, “গত পাঁচ আগস্ট এই বাংলাদেশের প্রথম ফ্যাসিস্ট মুজিবের কন্যাকে এদেশ থেকে বিদায় করতে পারলেও ফ্যাসিবাদের যে প্রতীকগুলো ছিল সেগুলো সমূলে উৎখাত করতে পারিনি। এতদিন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের প্রতিটি জায়গায় শেখ পরিবারের নাম সংবলিত প্রতিষ্ঠান বা প্রতীকের মাধ্যমে তাদের ফ্যাসিবাদকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে।
নানা সমস্যা পেরিয়ে আজ আমরা আমাদের ক্যাম্পাস থেকে সেটা উৎখাত করেছি এবং আগামীতে এই বাংলাদেশের কোথাও ফ্যাসিজমের কোনো প্রতীক আমরা রাখব না। “
এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বলেন, “গণহত্যার সাথে জড়িত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কোনো স্মৃতিচিহ্ন বাংলার মাটিতে থাকতে পারে না।
এদেশে স্বৈরাচার হাসিনা পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল, তাই দেশের বড় বড় স্থাপনায় নিজের পরিবারের নাম জুড়ে দিয়েছিলেন। আজ বাংলাদেশের প্রথম ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙার মাধ্যমে মুজিববাদের কবর রচিত হল। “