সজিব রেজা, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
বন্ধ উত্তরবঙ্গের সকল পেট্রোল পাম্প, জরুরী প্রয়োজনে সংবাদকর্মীদেরও মিলছে না জ্বালানী তেল। চরম ভোগান্তিতে ভুগছে মানুষ। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ উত্তরাঞ্চলের সকল পেট্রোল পাম্প । বিনা নোটিসে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য উত্তরবঙ্গের সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে রাজশাহী বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজেদের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাপেওএ, রাজশাহী বিভাগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান রতন এবং বাপেওএ, রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলজরুরী বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্মানিত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পেট্রোল পাম্প মালিকগণ,
আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আজ ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি প্রদান না করে আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। এই অযৌক্তিক ও অন্যায় অভিযানের ফলে পেট্রোল পাম্প মালিকগণ চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। আমরা এই অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাএই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল ৫ই ফেব্রুয়ারি সকাল ৮.০০ ঘটিকা থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল পেট্রোল পাম্প মালিকগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছেন।আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকার নির্ধারিত সকল নিয়ম-কানুন মেনে ও বৈধ লাইসেন্স অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। নিয়মিত রাজস্ব প্রদান করে আমরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছি। অথচ, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসলেও অতীতে কখনো এমন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়নি। এতে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ করে এই অভিযান কেন? কার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো? যখন দেশের জ্বালানি খাত স্থিতিশীল, তখন এই ধরনের অভিযান ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করছে এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে আমাদের আশঙ্কঅতএব, সম্মানিত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পেট্রোল পাম্প মালিকগণ, আপনাদের প্রতি অনুরোধ রইল, এই ধর্মঘট সফল করতে সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকুন ও সম্মিলিতভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করুন।
এদিকে, দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জ পেট্রোল পাম্পে সংবাদকর্মীরা জরুরী প্রয়োজনে জ্বালানী তেল নিতে গেলে তারা সংবাদকর্মীদের ও জ্বালানী তেল দিতে অস্বীকৃতি জানায়। জনসাধারনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকায় তারা ভোগান্তি এবং ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে । জ্বালানী তেল চালিত কৃষি যন্তপাতি বন্ধ হয়ে আছে। খোলা দোকানে বাড়তি মূল্যে জ্বালানী তেল বিক্রি হচ্ছে।