গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধিঃ
কোন প্রকার একাডেমিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই জীবিকার তাগিদেও নয় বরং শখের বসেই হরহামেশা মানিক বিশ্বাসের বড় ছেলে তাইজুল বিশ্বাস (১৩) অটো গাড়ী নিয়ে সড়কে বের হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাইজুল। হঠাৎ মায়ের সাথে থাকা শিশু দিগন্তের সামনে ব্রেক ও হর্ন বাজালে ভয় পেয়ে শিশুটি লাফ দিয়ে গাড়ির চাকার নিচে চলে যায়।
তাৎক্ষণিক শিশুটিকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটির মৃতু হয়। অসর্তকতা ও একটি ভুলে একটি পরিবার হারিয়েছে শিশু পুত্র দিগন্তকে। স্থানীয় নিজাম খান, তসলিম খানের উপস্থিতিতে বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সহ তার ভাইয়ের ছেলে ফোন আলাপের মাধ্যমে সমঝোতা করেছেন জানালেন মৃত দিগন্তের বাবা দীপক।
১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার বকুল বাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া নামক স্থানে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। হিন্দু সম্প্রদায়ের গরীব পরিবার হওয়ায় স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা চালানোর অভিযোগও উঠেছে। তাইজুল বিশ্বাস উপজেলার বকুল বাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং নিহত দিগন্ত উক্ত ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
মুঠোফোনে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে সমঝোতার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে উত্তেজিত হয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর ও দু’জন পুলিশের উপস্থিতিতে সমঝোতার বিষয়টি স্বীকার করেন। এছাড়া এ বিষয়ে তার কোন মন্তব্য নেই বলে জানান।
গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ আসাদুর রহমান জানান, ‘মৃত শিশু দিগন্তের বাবা বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। সড়ক পরিবহন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’