কয়রা, (খুলনা)প্রতিনিধি :
খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার সাতহালিয়া গ্রামের শিক্ষার্থী রেজওয়ান আহমেদ সদ্য মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। অর্থাভাবে রেজওয়ানের মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে শঙ্কার খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে কয়রা উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় রেজওয়ান কে ডেকে আর্থিক সহায়তা করেছেন কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে মেধাবী শিক্ষার্থী রেজওয়ান আহমেদ ও তার পিতা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে তার সাথে সাক্ষাৎ করে। তাদের সাক্ষাৎ এর বিষয়টি সমন্বয় করেন উপজেলা প্রথম আলোর সংবাদকর্মী ইমতিয়াজ উদ্দিন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেজওয়ানের গর্বিত পিতা ইব্রাহিম খলিল,উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ। মেধাবী রেজওয়ান আহমেদ গ্রামের বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক পাস করার পর ভর্তি হন এলাকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ২০২১ সালে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে খুলনা সুন্দরবন কলেজে ছেলেকে ভর্তি করান রেজওয়ানের বাবা। সেখানেও জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্য আনেন রেজওয়ান। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েননি তিনি। এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।তার দরিদ্র পিতা ইব্রাহীম খলীল , মাতা আছিয়া খাতুন ও তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উৎসাহে তার এতদূর আসা। সে সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছে। এখন স্বপ্ন পূরণে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থী রেজওয়ান আহমেদ এর ফলাফলে কয়রা উপজেলাবাসী গর্বিত। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া শিক্ষার্থী রেজওয়ানের মেডিকেল এ ভর্তি ফি সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচের যোগান দিবে কয়রা উপজেলা প্রশাসন। তাছাড়া তাদের পাশে সবসময় থাকার বিষয়ে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?