নাজমুল হক চৌধুরী, নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদী সদরের শেখেরচরে বাসায় ডুকে মা মেয়েকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় সুমনা আক্তার তিথি (১৩) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে ও তার আসমা বেগম (৪০) গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।
সোমবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার শেখেরচর-বাবুরহাট বাজার সংলগ্ন বাড়ি থেকে কিশোরীর রক্তাক্ত মরদেহ ও তার মাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, নিহত সুমনা আক্তার তিথি (১৩) ও আহত গৃহবধূ আসমা বেগম (৪০) ওই এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে ও স্ত্রী। মোফাজ্জল বাড়ির পাশে চা-পানের দোকান চালান।
নিহতের স্বজন ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকালে দোকানে যান মোফাজ্জল রাতে বাসায় ফিরেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরেই তিনি দেখেন দ্বিতীয় তলার ঘরে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন, তখন তিনি চিৎকার শুরু করলে লোকজন গিয়ে তিথিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর আহত আসমা বেগমকে মাধবদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এসময় অক্ষত অবস্থায় বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানকে ।
গৃহকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ছোট বাড়িটির নীচতলায় কাপড়ের দোকানের গোডাউন হিসেবে ভাড়া দেওয়া। দ্বিতীয় তলায় তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন। তার মেয়ে তিথি স্থানীয় মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। কে বা কারা কী কারণে তার স্ত্রী-সন্তানকে ঘরে ঢুকে কুপিয়েছে তা বুঝতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।
এদিকে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করে সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
কী কারণে, কে বা কারা এ হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিক বলা যাচ্ছে না। তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।