শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

লালমনিরহাটে আখ চাষ অর্থনীতি ও সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় লালমনিরহাট জেলা তার উর্বর মাটি এবং বৈচিত্র্যময় কৃষি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। এ জেলার কৃষকদের মধ্যে আখ চাষ এক উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে আছে। আখ থেকে গুড়, চিনির মতো বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করা হয়, যা স্থানীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকার এ বছর থেকে দেশীয় চিনি কারখানা গুলো আবার উৎপাদন মুখী […]

নিউজ ডেস্ক

২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২০:৪৫

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় লালমনিরহাট জেলা তার উর্বর মাটি এবং বৈচিত্র্যময় কৃষি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। এ জেলার কৃষকদের মধ্যে আখ চাষ এক উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে আছে। আখ থেকে গুড়, চিনির মতো বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করা হয়, যা স্থানীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকার এ বছর থেকে দেশীয় চিনি কারখানা গুলো আবার উৎপাদন মুখী করার ফলে কৃষকরা আবার আখ চাষে লাভের আশ্বাস ফিরে পাচ্ছে।

রংপুর অঞ্চলে আখ চাষের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে। ২০২২ সালে রংপুর অঞ্চলে আখ চাষ হয়েছিল ৩৬,৫০০ হেক্টর জমিতে, যা এর আগের বছরগুলোতে ৫০ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে ছিল। সুগার মিল বন্ধ হওয়ার পর থেকে আখের চাষ ক্রমশ কমতে শুরু করেছে।

প্রতি হেক্টর জমি থেকে গড়ে ৫২ মেট্রিক টন আখ উৎপন্ন হয় এবং আখ থেকে ৪ মেট্রিক টন গুড় উৎপন্ন হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে আখ উৎপন্ন এবং আখ থেকে গুড় উৎপাদন করতে খরচ হয় প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত।

আখ চাষ বাংলাদেশের কৃষি খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। দেশের খাদ্যশস্য এবং শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আখ থেকে গুড়, চিনি এবং আখের রস উৎপাদিত হয়, যা দেশের মিষ্টান্ন এবং পানীয় শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও, আখের খড় পশুখাদ্য এবং জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। লালমনিরহাটে আখ চাষের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক উন্নতি ঘটে এবং স্থানীয় অর্থনীতি শক্তিশালী হয়।

লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপকভাবে আখ চাষ করা হয়। বিশেষ করে হাতীবান্ধা, আদিতমারী এবং কালীগঞ্জ উপজেলায় আখ চাষের জন্য পরিচিত। আখ চাষের জন্য উর্বর মাটি এবং উপযুক্ত জলবায়ু লালমনিরহাটের কৃষকদের আখ চাষে উৎসাহিত করে। প্রতি বছর কৃষকেরা হাজার হাজার একর জমিতে আখ চাষ করেন এবং এ থেকে উল্লেখযোগ্য উৎপাদন লাভ করেন।

আখ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় মাটি প্রস্তুতি, সঠিক সময়ে বীজ বপন, সঠিক সেচ এবং রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লালমনিরহাটে কৃষকেরা সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে আখের বীজ বপন করেন এবং ১০-১২ মাস পর ফসল কাটা হয়। আখের বীজ বপনের পর প্রায় প্রতি সপ্তাহে সেচ দেওয়া হয় এবং সুষম সার এবং কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

আখের ফসল সংগ্রহের পর, সেগুলো স্থানীয় গুড় কারখানায় পাঠানো হয়, যেখানে গুড় এবং চিনি উৎপাদিত হয়। স্থানীয় কৃষকেরা গুড় এবং চিনি উৎপাদনের মাধ্যমে তাদের আয় বাড়ায় এবং স্থানীয় বাজারে এ পণ্যগুলির সরবরাহ নিশ্চিত হয়। বাজারজাতকরণে চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে সঠিক সামঞ্জস্য না থাকলে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য পায় না। 

লালমনিরহাটে আখ চাষের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। উন্নত কৃষি প্রযুক্তি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আখ চাষের পরিমাণ এবং গুণগত মান বৃদ্ধি করা সম্ভব। কৃষকদের আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি এবং নতুন বীজ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করে এ লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করা যায় । আখ সংরক্ষণের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পচন কমানো সম্ভব। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গুদাম এবং সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে আখের দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণ নিশ্চিত করা যায়। উন্নত বিপণন নেটওয়ার্ক এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে আখের বাজারজাতকরণ সহজ করা যেতে পারে। কৃষকদের জন্য সরাসরি বাজার সংযোগ তৈরি করে এবং বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তাদের মুনাফা বৃদ্ধি করা যায়। সরকার এবং ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করা যেতে পারে। এতে করে কৃষকরা আখ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে।

কৃষক আবেদ আলী (৭০) যিনি ময়মনসিংহ থেকে লালমনিরহাটে এসেছিলেন শোনা যায় তারাই অনেক আগে থেকেই আখ চাষ করে থাকে। আখ চাষ সম্পর্কে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমরা বংশীয়ভাবে এখানে আখ চাষ করে থাকি। আমরা আশাহত হই নাই। আমরা এখনো নিয়মিতভাবে আখ চাষ করি। ইদানিং শোনা যাচ্ছে সরকার চিনি মিল গুলো চালু করে দিবে তো এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।’

জেলা কৃষি উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাইখুল আরিফিন আগাম আখ চাষ সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এবার আখ চাষে কৃষকদের বেশি উৎসাহ দিব। কারণ সরকার চিনি কল গুলো চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে ক্ষেত্রে সামনের মৌসুমে আখের একটি ব্যাপক চাহিদা লক্ষণীয়।’

আখ চাষ লালমনিরহাটের স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এই চাষাবাদ বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে, যা স্থানীয় জনগণের জীবিকা নির্বাহের একটি মাধ্যম হয়ে ওঠে। কৃষক, কাজের মানুষ এবং পরিবহন ব্যবস্থার সাথে যুক্ত লোকজন সবাই এর থেকে উপকৃত হয়। এছাড়াও, আখ চাষের মাধ্যমে উৎপাদিত গুড় এবং চিনি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়।

সারাদেশ

সেই ৩ ডাকাতের মিলেছে পরিচয়

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকার রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা থেকে আটক তিন ডাকাতের পরিচয় মিলেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আত্মসমর্ণ করা ডাকাতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা ভবনের নিচতলার বরিশাল ফার্মেসি মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শী […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৪

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকার রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা থেকে আটক তিন ডাকাতের পরিচয় মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আত্মসমর্ণ করা ডাকাতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা ভবনের নিচতলার বরিশাল ফার্মেসি মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শী মনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়দের চিল্লাচিল্লি শুনে এগিয়ে এসে দেখি ব্যাংকে ডাকাত ঢুকেছে। এসময় ব্যাংকের গেট ও জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিনি জানান, আটক তিন ডাকাতের বয়স ১৮ থেকে ২০ হবে। জানালা দিয়ে সবাইকে বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেয়। সবার মুখে মাস্ক ছিলো। হাতে অস্ত্র ছিলো।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ব্যাংকে ঢোকে। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির খবর জানানো হলে স্থানীয় কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখা ঘিরে ফেলেন ও বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকটি ঘেরাও করে রাখে।

জানা গেছে, ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক–সংলগ্ন মূল সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ডাকাত দলকে আত্মসমর্পণের জন্য পাশের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেষ্টায় সন্ধ্যার দিকে আত্মসমর্পণ করে তারা।

 

সারাদেশ

নাটোরে ট্রেনের হুক ভেঙে বগি বিচ্ছিন্ন

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, (নাটোর প্রতিনিধি): নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি অবস্থায় আকস্মিকভাবে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুই বগির মাঝখানে হুকটি ভেঙ যায়। এতে বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নতুন হুক লাগিয়ে ও সংযোগ স্থাপনের পর এক ঘন্ট বিলম্বে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৩

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, (নাটোর প্রতিনিধি):
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি অবস্থায় আকস্মিকভাবে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুই বগির মাঝখানে হুকটি ভেঙ যায়। এতে বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
নতুন হুক লাগিয়ে ও সংযোগ স্থাপনের পর এক ঘন্ট বিলম্বে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নং লাইনে এ ঘটনা ঘটে।
অপর লাইনগুলো সচল থাকায় অন্যান্য ট্রেন চলাচলে কোন বিঘ্ন ঘটেনি।
মাধনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ উজ্জ্বল আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নং লাইনে প্রবেশ করে।
স্টেশন বিরতি শেষে ছেড়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের (ঝ) বগি ও (ঞ) বগির মাঝখানের সংযোগ হুক ভেঙে বগি দুটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে মেরামত শেষে দুপুর সোয়া ১ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

অন্যান্য

ডিসেম্বরে চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন টানা ৪ দিন ছুটি

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার। রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৮

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার।

রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর বুধবার। তাই বৃহস্পতিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই টানা চারদিন ছুটি পেতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এ ‍দুদিন ছুটি পালন করা হবে।

তবে যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে।

এদিকে ২৪ ডিসেম্বর ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিষ্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি। ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়।কর্মব্যস্ত জীবনে সাপ্তাহিক ছুটিতে অনেকেরই ব্যক্তিগত নানান জরুরি কাজ থাকে।

তবে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি পেলে কোথাও টুরে যাওয়া যায় বা কোনো পরিকল্পনা করা যায়। তাই এমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন বহু মানুষ।