নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের সিংড়ায় রাতের আঁধারে অগ্নিকান্ডে মোঃ মমতাজ আলীর ১২ছেলের ১২টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এঘটনায় ওই পরিবারের দেওয়া তথ্যমতে প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
(২৩ জানুয়ারী) বুধবার দিবাগত রাত অনুমান দুইটা ত্রিশ মিনিট হতে তিন ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় সিংড়া উপজেলার ১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের চৌপুকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত ১০টায় সবাই ঘুমিয়ে পড়ে, হঠাৎ রাত দেড় টার দিকে আগুনের ফুলকি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে চিৎকারে সবাই বের হয়ে আসে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ২ ঘন্টা প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায় তবে লোকজনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হতে অগ্নিসংযোগ নাকি পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে এ অগ্নিসংযোগ এর সুত্রপাতের ঘটনা ঘটেছে তাহা স্থানীয় লোকজন নিশ্চিত করতে পারেনি।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জালাল উদ্দীন জানান, তারা যৌথভাবে সবাই বসবাস করে আসছেন। তারা ১২ ভাই মোঃ জালাল মহুরী, মোঃ শহিদুল ইসলাম,মোঃ মোশারফ হোসেন, মোঃ মহিদুল ইসলাম, আঃ ছালাম, বেলাল হোসেন, আলমগীর, সিরাজুল ইসলাম , ইউসুফ আলী , এনামুল, আঃ হান্নান। সবার ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ও অপর ভাই এর আংশিক ক্ষতি হয়। বাড়ির নগদ প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা, ৬ টি ফ্রিজ, ২০০ মন ধান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার সম্পর্কে চাচা হয় এরশাদ আলী, তাহার সাথে আমাদের পারিবারিক গোলমাল ছিল, সে গত ৬ নভেম্বর ২০২৪ ইংরেজি তারিখে সে স্টোক জনিত কারণে মারা গেছে, সেই এরশাদ আলী মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে আমাদের কয়েক ভাইকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।তবে আমার চাচার সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিলো। সেই মামলার গত ১ দিন আগে ঢাকা হাইকোর্ট হতে আমরা জামিন প্রাপ্ত হই। আর আমাদের বাড়ির বিদ্যুত বিল পরিশোধ না করার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল, আমাদের বাড়ির উপর দিয়ে কোন বৈদ্যুতিক তার ছিল না। আমরা আট ভাই, একজন ভাতিজা ও চার ভাইয়ের স্ত্রী কে আসামি করে তারা মামলা দায়ের করে। আমরা ওই মামলার আসামী হওয়ায় গত ৩মাস যাবত পলাতক ছিলাম, আমাদের গ্রামের বাড়িতে তালাচাবি দেওয়া ছিল।
আমাদের বাড়িতে এধরণের পরিকল্পিত ভাবে অগ্নিসংযোগ এর ঘটনা মেনে নেওয়ার মতো না। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায্য বিচার চাই। এঘটনায় আইনগত বেবস্থা প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বিষয় টি জানার পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ওই পরিবার কে ৩শত কেজি চাল, ৩৬ টি কম্বল ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।