সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসনের একটি টিম সুমন খানের কয়েকটি ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুঝে নিয়ে সেখানে সরকারি ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়।
সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান ওরফে হুন্ডি সুমন, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং মৃত বাচ্চু খানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, জমি দখল, হুন্ডি ব্যবসা, চোরাচালান, টেন্ডারবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে প্রায় ১০টি মামলা রয়েছে।
গত ৩১ অক্টোবর রাতে লালমনিরহাট সিআইডি’র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই সরকার বাদী হয়ে সুমন খান, তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার রুমা ও কর্মচারী তৌকির আহমেদ মাসুমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনে মামলা দায়ের করেন।
সিআইডি দাবি করে, সুমন খানের ব্যাংকে ২৩৭ কোটি ৪৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬০ টাকা, তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার রুমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩১০ টাকা এবং কর্মচারী তৌকির আহমেদ মাসুমের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৮৬ কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ১২৭ টাকা পাওয়া গেছে।
গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা সুমন খানের বিরুদ্ধে সিআইডি’র দায়ের করা অর্থ পাচার মামলায় লালমনিরহাটের সিনিয়র দায়রা জজ মোহাম্মদ আদীব আলী গত ১ ডিসেম্বর তার নামীয় ব্যাংক হিসাব (ফ্রিজ) জব্দসহ স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন। সেই আদেশে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা সুমন খানের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বুঝে নিতে টিম গঠন করে।
সেই টিম বৃহস্পতিবার কালীবাড়ি বাজারের ৪ তলা ভবনের আবাসিক হোটেল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শহীদ মিনার এলাকার আলীসান বাসা ক্রোক করে রাষ্টীয় সম্পদ হিসেবে বুঝে নিয়ে ব্যানার সাঁটিয়ে দেয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সুমন খানের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।