সানজিদ মাহামুদ সুজন, জেলা প্রতিনিধি,শরীয়তপুর
কয়েকমাস পরে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শরীয়তপুরের জাজিরার “ব্রাহ্মণবাড়িয়া” খ্যাত “বিলাসপুর” ইউনিয়ন। মঙ্গলবার (২১-জানুয়ারি) দুপুরে বিলাসপুরের বুধাইর হাট বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৈয়দ তাজন গ্রুপ এর সাথে নাসির মেম্বার গ্রুপের উত্তেজনা দেখা দেয়।
এই ঘটনায় দুইটি হাতবোমা বিস্ফোরণের ফলে দুইজন পথচারী সামান্য আহত হলেও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আহত দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়।
ঘটনার পরে জাজিরা থানা পুলিশ সৈয়দ তাজন এর বাড়ির গরুর খামার হতে একটি কালো বালতিতে থাকা ৭ টি হাতবোমা উদ্ধার করেছে। তবে প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে থানায় নেয়া হবে বলে জানালেও পরবর্তীতে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে সৈয়দ তাজন এর বাড়ির সামনে পাকা রাস্তায় হাতবোমা বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়। এছাড়া স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতেই জাজিরা থানার ওসি (তদন্ত) ইন্সপেক্টর এম এ সালামের নেতৃত্বে জাজিরা থানা পুলিশের একটি টিম হাতবোমা গুলো উদ্ধার করে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাজারে দোকানিদের মধ্যে হওয়া সামান্য ঝামেলাকে কেন্দ্র করে সৈয়দ তাজন ইসলামের বাড়িতে তাদের লোকজন হাতবোমা নিয়ে বাড়ির সামনে রাস্তায় একটি এবং বাড়ির
পেছন সাইটে প্রতিবেশী নাসির মেম্বারের বাড়ির দিকে একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে। এরপর চতুর্দিক থেকে তাদের বাড়ি ঘিরে রাখে স্থানীয়রা, যার ফলে উদ্ধারকৃত হাতবোমা সেখান থেকে সরাতে পারেনি তারা।
নাসির মেম্বার বলেন, আমি শরীয়তপুর আদালতে মামলার হাজিরা দিতে গিয়েছিলাম। এরইমধ্যে বাজারের দোকানিদের সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে তারা হাতবোমা নিয়ে বেরিয়ে আমার বাড়ির দিকে
লক্ষ করে হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এছাড়া তার বাড়ি থেকে মজুদকৃত হাতবোমা পুলিশ এসে উদ্ধার করেছে। পুলিশ আসার আগ পর্যন্ত স্থানীয়রা তাদের বাড়ির চতুর্পাশে ক্যামেরা নিয়ে অবস্থান নেয় যাতে হাতবোমা সরিয়ে ফেলতে না পারে। আমার বাড়িতে অহেতুক হামলার বিচার চাই।
তবে প্রতিপক্ষের সৈয়দ তাজন এর ছোটভাই সাব্বির বলেন, আমাদের আশেপাশে সবাই শত্রুতার চোখে দেখে। বাজারের ছোটোখাটো ঝামেলা হলে আমি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করতে গেলে তারা আমার
উপর চড়াও হয়ে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া তাদের বাড়ির খামার থেকে উদ্ধারকৃত হাতবোমার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
হাতবোমা উদ্ধার শেষে জাজিরা থানার ওসি (তদন্ত) ইন্সপেক্টর সালাম জানান, আমরা তদন্ত করে হাতবোমা রাখার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দোষীদের গ্রেফতারসহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।