মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মাইলমারী গ্রামের পদ্মবিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অবারিত জলরাশীতে অতিথী পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পরিবেশ। শীতের শুরুতে আসা পাখিদের জলকেলিতে মুগ্ধ প্রকৃতি ও পাখি প্রেমীরা। তবে বিলের অধিকাংশ এলাকা কচুরীপানায় ভরে যাওয়ায় জলাশয়ের পরিধি কমে যাচ্ছে। ফলে পাখিদের বিচরন করতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার মাইলমারী পদ্মবিল। অনেক আগে থেকেই এই বিলে পাখিদের আনাগোনা। কিন্তু পাখি শিকারীদের অত্যাচারে কমতে থাকে তাদের উপস্থিতি। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পাখি শিকারীদের আনাগোনা কমে যায়। এর ফলে গত কয়েক বছর ধরে অতিথী পাখিদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। পাখিদের সঙ্গে পদ্মবিলের জল ও স্থলভাগ এখন পানকৌড়ি, বক, বালিহাঁস, কাদাখোঁচা, ডাহুক, শামুকখোলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির অভয়াশ্রম। এসব পাখির দলবদ্ধ বিচরণ মুগ্ধ করছে এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীদের। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিড় করছে মাইলমারী পদ্মবিলে।
এলাকাবাসী জানান, এই পাখিগুলিকে নিরাপদে বিচরণের জন্য এলাকায় কোন পাখি শিকারীকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। দেশি বিদেশী পাখি এই পদ্মবিলে আসার কারণে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা পেয়েছে। সরকারিভাবে পাখিগুলোর নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিত করা হলে র্আর বেশি পাখি আসবে।
মেহেরপুর ছহিউদ্দিন ডিগ্রী কলেজের ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ রেজা জানান, প্রাণ প্রকৃতি টিকে না থাকলে পৃথিবীর কোন কিছুই টিকে থাকা অসম্ভব। অতিথী পাখিরা ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং তাদের বিষ্টা থেকে মাটির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি পায়। হাজার হাজার মাইল দূর থেকে পাখিগুলো এখানে এসেছে। এদের টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা জানান, এই পদ্ম বিলটিকে পাখিদের অভয়াশ্রম করে গড়ে তোলা হবে। যাতে অতিথী পাখি নিরাপদে বিচরণ করতে পারে এবং পাখির বিচরণ যেন আরও বেশি হয়। সে বিষয়ে কাজ করছে প্রাণী সম্পদ অফিস, বনবিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন।