মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

আমতলী পৌরসভার নেই বর্জ্য শোধনাগার! পায়রা নদী একমাত্র ভরসা

রাশিমুল হক রিমন,আমতলী (বরগুনা) ১৯৯৮ সালের ২৩ শে আগস্ট আমতলী পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। প্রায় ৭.৭৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভায় ৩৩ হাজারের অধিক মানুষের বসবাস। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৬ টন বর্জ্য তৈরি হয়। অথচ পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ২৬ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের ময়লা—আবর্জনা ফেলার জন্য […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯:৫৪

রাশিমুল হক রিমন,আমতলী (বরগুনা)

১৯৯৮ সালের ২৩ শে আগস্ট আমতলী পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। প্রায় ৭.৭৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভায় ৩৩ হাজারের অধিক মানুষের বসবাস। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৬ টন বর্জ্য তৈরি হয়। অথচ পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ২৬ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের ময়লা—আবর্জনা ফেলার জন্য নির্মাণ করতে পারেনি বর্জ্য শোধনাগার।

পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত বর্জ্য অপশারনে নিজস্ব কোনো স্থান না থাকায় পায়রা (বুড়িশ্বর) নদী একমাত্র ভরসা। এতে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। অন্যদিকে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে ইলিশ উৎপাদনে। পাশাপাশি ময়লা আবর্জনার সাথে থাকা পলিথিনসহ বিভিন্ন প্লাস্টিক বর্জ্য ভেসে যাচ্ছে নদীতে। নদীর পরের বাসিন্দারা বলছেন, ময়লাযুক্ত পানি দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করছে হাজার হাজার মানুষ। এতে চর্ম, ডায়রিয়াসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। ময়লা আবর্জনা দুর্গন্ধে বিষন্ন হয়ে উঠেছে জীবনযাপন। তাই পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করার দাবী পৌরসভার সচেতন নাগরিকদের।

২০১৫ সালে আওয়ামী সরকারের আমলে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে ঘোষিত হলেও বর্জ্য অপসারণের নির্ধারিত কোনো জায়গার ব্যবস্থাপনা করতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভা থেকে ময়লা ফেলানোর একটা নির্ধারিত জায়গা না থাকায় সাবেক মেয়রকেই দায়ি করছেন পৌর বাসিন্দারা।

পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, পায়রা নদীর ব্লোক পাড়ের এ স্থানে দর্শনার্থীর আসা যাওয়া। ময়লা আবর্জনার স্তূপ রাখা থাকে এখানে — নির্দিষ্ট স্থানে রাখলে পরিবেশ ও নদীর ক্ষতি থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।

আমতলী উপজেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভেকেট শাহাবুদ্দিন পাননা বলেন, আমতলী পৌরসভা প্রথম শ্রেণীর হলেও নেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোন ব্যবস্থা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার জানালেও কোন সমাধান হয়নি। তাদের দাবি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট নির্মাণের মাধ্যমে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা রিসাইক্লিং করে সার উৎপাদন ও পরিবেশ সম্মত স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন নির্মান। নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত নাগরিকদের এ দাবী পূরণে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা. তেংমং বলেন, বর্জ্য—আবর্জনাযুক্ত পানি ব্যবহারে মানুষের রোগ—ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এছাড়া উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য থেকেও একই রকম ঝুঁকি থাকে। 

আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ঈসা জানান, বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের মাধ্যমে নাগরিক সেবার পাশাপাশি পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের ময়লা আবর্জনাকে সম্পদে পরিণত করতে পারে। তাদের সংগৃহীত বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস ও জৈব সার উৎপাদন করা সম্ভব। 

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ মজিবুল হায়দার জানান, বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের জন্য জমি বরাদ্দ নেয়ার চেষ্টা চলছে। 

এ প্রসঙ্গে আমতলী পৌর প্রশাসক (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারি জায়গা খোঁজ করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় সুবিধা মতো স্থান থেকে বেসরকারি জায়গা অধিগ্রহণ করতে পারছে না তারা

সারাদেশ

১৬ বছর চাকুরিচ্যুত পুলিশ কর্মকর্তা অপারেশন ডেভিল হান্টের নেতৃত্বে

গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় আজ (শনিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আসিফ সৈকত তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে বলেছেন,অপারেশন […]

ফারজিন লিটু

০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০:৪৬

গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় আজ (শনিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আসিফ সৈকত তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে বলেছেন,অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু।

এই অপারেশনের নেতৃত্বে রয়েছেন ১৬ বছর চাকুরিচ্যুত থাকার পর চাকরি ফিরে পাওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা।

সারাদেশ

সেই ৩ ডাকাতের মিলেছে পরিচয়

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকার রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা থেকে আটক তিন ডাকাতের পরিচয় মিলেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আত্মসমর্ণ করা ডাকাতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা ভবনের নিচতলার বরিশাল ফার্মেসি মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শী […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৪

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকার রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা থেকে আটক তিন ডাকাতের পরিচয় মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আত্মসমর্ণ করা ডাকাতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা ভবনের নিচতলার বরিশাল ফার্মেসি মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শী মনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়দের চিল্লাচিল্লি শুনে এগিয়ে এসে দেখি ব্যাংকে ডাকাত ঢুকেছে। এসময় ব্যাংকের গেট ও জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিনি জানান, আটক তিন ডাকাতের বয়স ১৮ থেকে ২০ হবে। জানালা দিয়ে সবাইকে বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেয়। সবার মুখে মাস্ক ছিলো। হাতে অস্ত্র ছিলো।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ব্যাংকে ঢোকে। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির খবর জানানো হলে স্থানীয় কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখা ঘিরে ফেলেন ও বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকটি ঘেরাও করে রাখে।

জানা গেছে, ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক–সংলগ্ন মূল সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ডাকাত দলকে আত্মসমর্পণের জন্য পাশের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেষ্টায় সন্ধ্যার দিকে আত্মসমর্পণ করে তারা।

 

সারাদেশ

নাটোরে ট্রেনের হুক ভেঙে বগি বিচ্ছিন্ন

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, (নাটোর প্রতিনিধি): নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি অবস্থায় আকস্মিকভাবে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুই বগির মাঝখানে হুকটি ভেঙ যায়। এতে বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নতুন হুক লাগিয়ে ও সংযোগ স্থাপনের পর এক ঘন্ট বিলম্বে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৩

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, (নাটোর প্রতিনিধি):
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি অবস্থায় আকস্মিকভাবে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুই বগির মাঝখানে হুকটি ভেঙ যায়। এতে বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
নতুন হুক লাগিয়ে ও সংযোগ স্থাপনের পর এক ঘন্ট বিলম্বে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নং লাইনে এ ঘটনা ঘটে।
অপর লাইনগুলো সচল থাকায় অন্যান্য ট্রেন চলাচলে কোন বিঘ্ন ঘটেনি।
মাধনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ উজ্জ্বল আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নং লাইনে প্রবেশ করে।
স্টেশন বিরতি শেষে ছেড়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের (ঝ) বগি ও (ঞ) বগির মাঝখানের সংযোগ হুক ভেঙে বগি দুটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে মেরামত শেষে দুপুর সোয়া ১ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।