নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলাতে দুইটি অবৈধ ইটভাটা তে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি দুইটি ভাটার মালিক কে দুই লক্ষ টাকা করে মোট চার লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এতে ওই ভাটার কিলন ও চিমনি ভেঙে অকেজো করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার(১৫ই জানুয়ারি) দুপুরে লাইসেন্স ও পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকায় সুবর্ণচরের চর জুবিলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ১নং সুইজ এ অবস্থিত আল্লাহর দান ব্রিক ফিল্ড এবং চর জব্বর ইউনিয়নের পরিস্কার বাজার সংলগ্ন আলিফ ব্রিক ফিল্ডে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
নোয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে পরিচালিত ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার লাকী। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও সুবর্ণচর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা।এসময় অভিযানে সহযোগিতা করে চর জব্বর থানা পুলিশ।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন লঙ্ঘন করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছিল দু’টি ব্রিক ফিল্ড। তাদের বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও আইনের বিষয়টি তোয়াক্কা করেননি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভাটাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন,পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো স্থাপনার কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না।
আল্লাহর দান ব্রিক ফিল্ডের মালিকের ছেলে বাদশা আলম বলেন,আমি স্বীকার করি আমাদের কার্যক্রম অবৈধ এবং আগামিতে এটি বন্ধ করে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছিল।তবে এবার যেহেতু চালু করা হয়েছে এবং এখানে প্রায় শতের অধিক শ্রমিক কাজ করতেছে, তাই আমরা ব্রিকফিল্ড চালু রাখার বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট আবেদন করি ,তারপরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ মহামান্য আদালতের রিট বিষয়টি আমলে না নিয়ে কোনরূপ নোটিশ ব্যতিরেকে আমাদের ব্রিকফিল্ডে অভিযান পরিচালনা করে।এতে করে আমরা অনেক বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির শিকার হলাম।
এছাড়া বাদশা আলম বলেন,আমরা তাদের এরকম আইনও নীতি বহির্ভূত অভিযানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।