মঙ্গলবার(১৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার পিপলা গ্রামের আতিয়া খাতুন (২৬) গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে ও বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় রাকিবুল হাসান(১৮) গলায় ফাঁস দিয়ে পৃথকভাবে আত্মহত্যা করে। তারা একই গ্রামের বাসিন্দা। আতিয়া খাতুন পিপলা গ্রামের আঃ আজিজ এর মেয়ে ও চরচাপিলা গ্রামের মোক্তার হোসেন নামে মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী। কলেজে পড়া রাকিবুল হাসান একই গ্রামের আলতাব হোসেন এর ছেলে। মাত্র ১১ ঘন্টার ব্যবধানে এই দুটি আত্মহত্যা এলাকায় রহস্যের উদ্ভব ঘটিয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের পিপলা গ্রামের আঃ আজিজের মেয়ে আতিয়া খাতুনের সঙ্গে প্রায় ৮ বছর আগে পাশবর্তী চরপিপলা এলাকার বকুল জানের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী মোক্তার হোসেন এর মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। এরপর মাঝে মধ্যে মোক্তার হোসেন বাড়িতে আসলেও তাদের কোন সন্তান নেই।
ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাত ৯টায় আতিয়া খাতুন শ্বশুর বাড়িতে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। সেখানে রাত ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে আতিয়া খাতুন গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ার পর আতিয়া খাতুন এর ছোটভাইয়ের বন্ধু কলেজ ছাত্র রাকিবুল হাসান তাদের বাড়িতে ছিল। সকাল ৮ টার দিকে রকিবুল হাসান নিজ বাড়িতে ফিরে ঘরের তীরের সাথে কাপড় পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এই দুটি আত্মহননের আসল কারণ উভয় পরিবারের কেউ বলতে পারছেন না।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রাকিবুল হাসান কে নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে এ দুটি আত্মহত্যা তার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।