নূর আলম দুর্গাপুর(নেত্রকোণা)প্রতিনিধি:
বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষার জন্য ইউনেস্কো ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অর্থায়নে আদিবাসী কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা’র আয়োজনে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বিরিশিরি কালচারাল একাডেমি মিলনায়তনে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) হাজং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দেউলী পৌষ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
কবি দোলন হাজং ও মনীষা হাজং এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আদিবাসী কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা’র সভাপতি কবি মং এ খেন মংমং। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিরিশিরি’র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজং। দেউলী পৌষ উৎসবের উদ্বোধন করেন মতিলাল হাজং।
গীতিকবি সুজন হাজং বলেন, হাজংরা উৎসবমুখর জাতি। হাজংদের অধিকাংশ উৎসব বিলুপ্তির পথে। তাদের ধর্মীয় ও কৃষিভিত্তিক উৎসবগুলো মধ্যে দেউলী পৌষ উৎসব একটি অন্যতম বর্ণিল উৎসব। জীবন ঘনিষ্ঠ এই উৎসবকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ইউনেস্কো ও জাতীয় জাদুঘরের অর্থায়নে এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কবি মং এ খেন মংমং বলেন, হাজংরা নিজেদের আত্মপরিচয়, সংস্কৃতি চর্চা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে যেন আরো বেশি যত্নশীল হয় এবং তারা যেন তাদের সোনালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করতে পারে এটাই আমাদের এই উৎসব আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিরিশিরি ডনবস্কো কলেজের পরিচালক ফাদার পাওয়েল কুচওয়ালিক। আলোচক অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কিপার আসমা ফেরদৌস, প্রিন্সিপাল মণীন্দ্রনাথ মারাক, এডভোকেট বিপুল হাজং, বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং, নারী নেত্রী সন্ধ্যা রাণী হাজং, চিত্রশিল্পী ও গাঁওমোড়ল বিশ্বজিৎ হাজং রুপক, কবি জন ক্রসওয়েল খকশি প্রমুখ। আলোচনা শেষে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত হাজং শিল্পীদের বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও পাঠা বলির মাধ্যমে দেউলী পূজা অর্চনার কাজ সম্পন্ন করা হয়।