সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

আরও এক বনখেকোর সন্ধান, শ্রীপুরে বনের জমি দখল করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নে শালবনের বুক চিড়ে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে হা-মীম ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। বনের জমি জবরদখল করে গড়ে তোলা হা-মীমের এ সাম্রাজ্যকে কেন্দ্র করে গ্রুপটির মালিক এ কে আজাদের সঙ্গে বন বিভাগের দ্বন্দ্ব চলছে প্রায় দুই দশক ধরে। বনখেকো এ কে আজাদের অর্থ, পেশিশক্তি আর রাজনৈতিক প্রভাব ও দাপটের কাছে সব সময়ই […]

নিউজ ডেস্ক

২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৪:৪৯

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নে শালবনের বুক চিড়ে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে হা-মীম ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। বনের জমি জবরদখল করে গড়ে তোলা হা-মীমের এ সাম্রাজ্যকে কেন্দ্র করে গ্রুপটির মালিক এ কে আজাদের সঙ্গে বন বিভাগের দ্বন্দ্ব চলছে প্রায় দুই দশক ধরে।

বনখেকো এ কে আজাদের অর্থ, পেশিশক্তি আর রাজনৈতিক প্রভাব ও দাপটের কাছে সব সময়ই বন বিভাগসহ স্থানীয় প্রশাসন অসহায়ত্ব স্বীকার করে এসেছে। হা-মীম গ্রুপের বেদখল করে নেওয়া বনের জমি উদ্ধার তো হয়ইনি বরং আরও নতুন জমি জবরদখল করা হয়েছে।

বন বিভাগ বলছে, এ শিল্প পার্কটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি অবজ্ঞা করা হয়েছে। হা-মীমের শিল্পপার্ক গড়ে উঠেছে বনের ভেতরে। এর বেশির ভাগই নিচু জমি, যা স্থানীয় ভাষায় ‘বাইদ’ নামে পরিচিত। বাইদ ভরাট করে গড়ে তোলা শিল্প-কারখানার বর্জ্য ও বিষাক্ত (টক্সিক) রাসায়নিক পদার্থের উৎকট দুর্গন্ধ স্থানীয় জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

হা-মীমের ওই শিল্পপার্কটি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী বিস্তৃত। একপাশে দাঁড়িয়ে তাকালে অপর পাশ দেখা বা অনুমান করার উপায় নেই। শিল্পপার্কের অভ্যন্তরে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতে হয় সাইকেল, মোটরবাইক বা গাড়ি। এখানে প্রতিষ্ঠিত কারখানাগুলো হলো হা-মীম ডেনিমস লিমিটেড, হা-মীম স্পিনিং লিমিটেড এবং হা-মীম টেক্সটাইল লিমিটেড।

জানা যায়, বন বিভাগ হা-মীম গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করে ২০০৭ সালে। সে মামলা আজ পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়নি। এরপর দফায় দফায় বন বিভাগের আরও জমি দখলে নিলে ২০১৮ সালে আরেকটি মামলা করা হয়। অন্যদিকে বন বিভাগকে ঠেকাতে চারটি মামলা দিয়ে রেখেছে হা-মীম গ্রুপ।

বন বিভাগের দ্বিতীয় মামলাটির প্রেক্ষাপট ছিল হা-মীম গ্রুপের পুনরায় বনের জমি জবরদখল।

এ সময় বন বিভাগের শ্রীপুর রেঞ্জের তত্ত্বাবধানে শিমলাপাড়া বিটের কর্মকর্তা ও বনরক্ষীরা মিলে প্রায় আট একর জমি হা-মীমের জবরদখল থেকে উদ্ধার করে নতুন বাগান সৃজন করেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে হা-মীম গ্রুপের মালিক এ কে আজাদ বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

হা-মীম গ্রুপের পত্রিকা সমকাল-এর তৎকালীন সম্পাদক গোলাম সারওয়ারকে সঙ্গে নিয়ে এ কে আজাদ এক রিপোর্টারের সহযোগিতায় দেখা করেন তৎকালীন বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের সঙ্গে। উপমন্ত্রী জ্যাকবের সমর্থন নিয়ে বনের জমি বেশি করে জবরদখল করা হয়। এর অসৎ উদ্দেশ্যটি ছিল কোনো কারণে যদি বনের জমি ছাড়তে হয় তাহলে যেন আগের দখল করা অংশটুকু থেকে যায়।

একদিকে তৎকালীন বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবকে দিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব সৃষ্টি করে বন বিভাগের লোকজনকে বাড়াবাড়ি না করে চুপ রাখা হয়। অন্যদিকে ওই একই সময়ে শিমলাপাড়া বিটে সশস্ত্র মহড়া দেয় হা-মীম গ্রুপের স্বত্বাধিকারী এ কে আজাদের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী সাইফুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। প্রায় ২০ জনের সেই দলের প্রত্যেকে অস্ত্রশস্ত্র উঁচিয়ে শাসিয়ে যায় শিমলাপাড়া বিটের সবাইকে।

একজন বন কর্মকর্তা জানান, ওই সময় শিমলাপাড়া বিট থেকে একজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সাইফুল ও তার সহযোগীরা। বন বিভাগ স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে আপসরফা করে অপহৃত ওই বনকর্মীকে ১৫ দিন পর উদ্ধার করে আনে। ওই ঘটনায় একটি মামলা করার চেষ্টাও হয়েছিল। কিন্তু বনের তৎকালীন কর্মকর্তারা পরবর্তী নিরাপত্তার স্বার্থে তা আর করেননি।

ওই বন কর্মকর্তা বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিট এবং রেঞ্জ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব সময় আতঙ্কে থাকেন। ভয়ে কেউ হা-মীম গ্রুপের কাউকে কিছু বলতে যান না। কয়েক মাস আগে বনের জমি উদ্ধারে বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নতুন করে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিলেও তা পালন করতে ভয় পান সংশ্লিষ্ট বনকর্মীরা।

এক বন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি বা আমাদের কেউ এখন হা-মীমের আশপাশেও যাই না। ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী বন বিভাগের মোট ১৬ একর (প্রায় ৫২ বিঘা) জমি হা-মীম গ্রুপ কর্তৃক জবরদখল করা আছে। ঠিকমতো রেকর্ড পরিমাপ করলে দেখা যাবে, জবরদখল করা জমির পরিমাণ আরও অনেক বেশি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এ কে আজাদের সঙ্গে বন বিভাগের দ্বন্দ্ব দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসছে। বিভিন্ন সময়ে আমরা আইনগত পরিধি অনুযায়ী এগিয়ে যেতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু তা কাজে আসেনি। ’

গত জুলাইয়ে সাক্ষাৎ করে এ ব্যাপারে মন্তব্য চাইলে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ও এলএ) সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘জবরদখলকারীর বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী বন বিভাগ থেকে একটা উচ্ছেদ প্রস্তাব জেলা প্রশাসনের এই দপ্তরে পাঠানো হয়। সেটি হাতে পেলে আমরা উচ্ছেদের ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। হা-মীম গ্রুপের বিরুদ্ধে কোনো উচ্ছেদ নোটিশ আমরা পাইনি। ’

এ ব্যাপারে ঢাকা কেন্দ্রীয় বন বিভাগের বন সংরক্ষক হোসাইন মুহাম্মদ নিশাদ বলেন, নিয়মানুযায়ী মামলা বিচারাধীন থাকলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ প্রস্তাব পাঠানো যায় না।

এদিকে বনের অভ্যন্তরে হা-মীম গ্রুপের বিস্তৃত জমির সঙ্গে লাগোয়া ব্যক্তিমালিকানার জমি পেলেই তা কিনে নেওয়ার চেষ্টা করেন এ কে আজাদ। জমি কিনতে এলাকাভেদে তার একাধিক এজেন্ট কমিশন বা কন্ট্রাক্ট ভিত্তিতে লোক নিয়োজিত আছে। এমনই একজন স্থানীয় মুলাইদ গ্রামের নাজমুল। ব্যক্তিমালিকানার জমির সঙ্গে যুক্ত বন বিভাগের জমি বা খাস জমি শনাক্তকরণ করে কিনতে সহযোগিতা করেন ওই নাজমুল। এরপর ওই জমি কেনার লোভনীয় দরের প্রস্তাব দিয়ে ফাঁদে ফেলা হয় জমির মালিককে। অভিযোগ আছে স্থানীয় জমির মালিকদের প্রথমে লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে বায়নাপত্র করা হয়। তারপর জমি দখলে নিয়ে আর অবশিষ্ট অর্থ পরিশোধ করা হয় না।

এ রকমই একজন স্থানীয় তেলিহাটি ইউনিয়নের ধনুয়া মৌজার ফরিদপুর গ্রামের ইব্রাহিম মোল্লা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার জমি জবরদখল করে নিয়েছে হা-মীম গ্রুপ। বায়নাপত্র করার পর আর আমাকে পাত্তা দিচ্ছে না ওই গ্রুপের লোকজন। আমি জমি ও অর্থ দুটিই হারিয়েছি। আমি তাদের গেট পর্যন্ত যেতে পারি। ভেতরে যেতে পারি না। ’ এ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় দলিলাদিও দেখান তিনি।

বুধবার (২৮ আগস্ট) মন্তব্য জানতে হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার এ কে আজাদের একাধিক ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।

পরিবেশবিষয়ক বেসরকারি সংগঠন পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী হিসেবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সব সময় পরিবেশ সুরক্ষায় অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন। অতীতে পরিবেশ সুরক্ষায় আপসহীন জোরালো ভূমিকার কারণে তাকে রাজনৈতিক ও বিত্তবান প্রভাবশালীদের বিরূপ আচরণ ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। বর্তমানে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় দেশ ও জনগনের বৃহত্তর স্বার্থে তার সর্বোচ্চ আইনগত বিধিবিধান প্রয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, দখলমুক্ত করার ক্ষেত্রে লিগ্যাল প্রসেস বা আইনগত প্রক্রিয়াটাই আমরা অনুসরণ করব। এত বছর ধরে যে বনের ভেতরে কারখানাগুলো চলছে, তার জন্য হয় রাজনৈতিক প্রভাব আছে, নয়তো বন বিভাগের লোকজনের যোগসাজশ আছে। আমাকে বুঝতে হবে যে ভূমির রেকর্ড টেম্পারিং হয়েছে কি না। যদি তা হয়ে থাকে এবং দেখা যায় যে দখলকারীর কোনো ভূমি রেকর্ড নাই বা যেটা আছে সেটা সঠিক নয়, তাহলে তো বনের জমি উদ্ধারে পদক্ষেপটা সহজ হয়ে যাবে। মূলত আইনগত দিকটাতেই জোর দিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, ‘অনেক সময় বন বিভাগের পক্ষে জমি দখল সম্পর্কিত অনেক মামলা আমি দেখেছি। প্রতিটি লিগ্যাল স্টেপেই বন বিভাগ হেরে যায়। যদিও গেজেট অনুযায়ী ভূমির রেকর্ড ও বাউন্ডারি লাইন করার ক্ষমতা বন বিভাগেরই রয়েছে। তারপরও বন বিভাগ হেরে যায়। প্রচলিত আইন অনুযায়ী যদি দেখি বন বিভাগের লিগ্যাল অবস্থান শক্ত আছে, তাহলে আমি অবশ্যই সে জমি রক্ষায় আমার আইনগত সব শক্তি প্রয়োগ করব।’

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা আইন মেনে সংস্কার করব। আইনি ধারায় সংস্কার করব। বন ও ভূমিসংক্রান্ত বিদ্যমান আইন যতক্ষণ পর্যন্ত না সংস্কার করা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমি বিদ্যমান আইনেই কথা বলব।’

সূত্র: খবরের কাগজ

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ভারতীয় গুলিবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৬:১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৪ মে) রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সাকিব (১৮)। তিনি কসবায় নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, রাতে বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই সময় এক অজ্ঞাতনামা ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম জানান, মাদলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর ও ভারতীয় নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তিনি বলেন,

“গুলিতে সাকিব নিহত হয় এবং অপর ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসে।”

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাকিব ও আহত ভারতীয় ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, সীমান্তে কিশোর নিহত ও অন্য একজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সারাদেশ

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ জুন ২০২৫, ১৯:৪৬

গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এক মর্মান্তিক ঘটনার অবসান হলো রোববার (১ জুন) ভোরে। সেনানিবাসের ওয়ার্কশপ ভবন থেকে সৈনিক এসএম সৌরভ হোসেনের (৩৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌরভ হোসেন ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জ গ্রামের উজির আলী মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। জানা যায়, কিছুদিন আগে বগুড়া সেনানিবাস থেকে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এমপি (এপিসি) স্কট হিসেবে বদলি হয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলায় সর্বস্বান্ত হয়ে মানসিক চাপে ছিলেন সৌরভ। রোববার গোপনে ল্যান্স করপোরাল ইয়াসির আরাফাতের মোবাইল থেকে ১৪ হাজার টাকা বেটিং সাইটে জমা দেন। ইয়াসির আরাফাত বিষয়টি টের পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং লোকজন ডাকাডাকি করলে সৌরভকে শাস্তিস্বরূপ নজরবন্দি রাখা হয়।

ভোরে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মরদেহের পাশে একটি বিশেষ চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে আত্মহত্যার কারণ লিখে গেছেন বলে পুলিশ জানায়। মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

এ ঘটনায় সেনানিবাস ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মহত্যার পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সারাদেশ

ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তামিমের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তামিম হাওলাদারের গ্রামেরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নে ব্রাহ্মন্দী এলাকায় তামিমের বাড়ি এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তার বাবার নাম এরশাদ হাওলাদার। মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. শেখ আহাদুজ্জামান সময় সংবাদকে অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সন্ধ্যায় […]

ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তামিমের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৪ মে ২০২৫, ২২:৫৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তামিম হাওলাদারের গ্রামেরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নে ব্রাহ্মন্দী এলাকায় তামিমের বাড়ি এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তার বাবার নাম এরশাদ হাওলাদার।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. শেখ আহাদুজ্জামান সময় সংবাদকে অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সন্ধ্যায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। তার আগেই পুড়ে যায় তামিম হাওলাদারের দুটি বসতঘর। কে বা কারা আগুন দিয়েছে সেটা এখনও জানা যায়নি।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন জানান, ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত মঙ্গলবার রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালীমন্দির গেটের সামনে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য। এ ঘটনায় তামিম হাওলাদারসহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সাম্য ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছিলেন। এছাড়া তিনি স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকও ছিলেন। সাম্য সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা ফখরুল আলমের ছেলে।