শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান রাতারাতি গড়ে তোলেন সম্পদের পাহাড়

রাতের বেলায় গাড়ি থেকে বস্তায় ঘুসের টাকা নামাতেন মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান সমন্বয়ক হতে না হতেই নিজ নির্বাচনি এলাকা কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের করিমগঞ্জ উপজেলা সদর বাজারের প্রধান সড়কে একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবন কিনে নেন। তিনি কদিন পরপর রাতে ওই ভবনে এসে উঠতেন এবং গাড়ি থেকে […]

নিউজ ডেস্ক

২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩৬

রাতের বেলায় গাড়ি থেকে বস্তায় ঘুসের টাকা নামাতেন মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান সমন্বয়ক হতে না হতেই নিজ নির্বাচনি এলাকা কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের করিমগঞ্জ উপজেলা সদর বাজারের প্রধান সড়কে একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবন কিনে নেন। তিনি কদিন পরপর রাতে ওই ভবনে এসে উঠতেন এবং গাড়ি থেকে নামাতেন বস্তাভর্তি ঘুসের টাকা। আর এ কাজে তিনি সহযোগিতা নিতেন ওই ভবনের ভাড়াটিয়া এক ছাত্রলীগ নেতার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান সমন্বয়ক হওয়ায় যেন তিনি আলাদিনের চেরাগ পেয়ে যান। তিনি যখনই রাতের বেলায় আসতেন তখনই তার সঙ্গে আসা একাধিক গাড়ি থেকে বস্তাভর্তি ঘুসের টাকা নামাতেন। এসব টাকা ওই ভবনের একটি বিশেষ কক্ষে রাখতেন। এ টাকার পরিমাণ কয়শ কোটি টাকা হবে তা বলা মুশকিল। তবে, এটুকু জানি যে, এসব টাকার একাংশ দিয়ে করিমগঞ্জ পৌর সদরের আয়লা এলাকায় একটি বিশাল ফিলিং স্টেশন ও গরুর ফার্ম গড়ে তোলেন তিনি। এছাড়া হাওড়ের বিভিন্ন এলাকায়ও কয়েক হাজার একর কৃষি জমি কিনেছেন বলেও জেনেছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রমতে, রাজধানীতেও অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি। দেশের বাইরেও পাচার করেছেন শতকোটি টাকা।

 

অভিযোগ আছে, তিনি আর্থিক সুবিধা অর্থাৎ মোটা অঙ্কের ঘুস না পাওয়ার নিজ এলাকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ একাত্তর সালের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীসহ দুই সহোদর স্কুলছাত্র ভাইকেও মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসিয়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার চেষ্টা চালিয়েছেন। উপরন্তু বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ-সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রীকেও মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে তার কাছেও মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিলেন বলে দাবি করেছেন প্রতিবেশী এম সানাউল হক।

নারায়ণগঞ্জের এসপি থাকাকালে ৬ কোটি টাকা চুক্তিতে তিনি পতিতালয় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে শত-শত অসহায় নারীকে বাস্তুচ্যুত করেছিলেন। উপরন্তু; সে সময় সুরজিত সরকার মানিক নামে তার এক প্রতিবেশী যুবককে নামমাত্র টাকা দিয়ে তার সব পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক হাতিয়ে নেন। আর সেই হিন্দু সম্পত্তিতেই গড়ে তুলেছেন একটি বিলাসবহুল প্রমোদ ভবন।

৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা অবৈধভাবে গড়ে তোলা প্রমোদ ভবন এবং ফিলিং স্টেশন ও গরুর ফার্মে হামলা ও ভাঙচুরের তাণ্ডব চালায়।

রোববার বিকালে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা সদরে মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হকের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে ঝাড়– ও জুতা ঝুলিয়ে গণবিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী। বাজারের বিএনপি দলীয় কার্যালয় থেকে এ জুতা ও ঝাড়ু মিছিল বের হয়ে করিমগঞ্জ প্রেস ক্লাব চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শেষ হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী সানাউল হকের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।

করিমগঞ্জে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হকের ফাঁসির দাবিতে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে এম সানাউল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ভারতীয় গুলিবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৬:১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৪ মে) রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সাকিব (১৮)। তিনি কসবায় নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, রাতে বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই সময় এক অজ্ঞাতনামা ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম জানান, মাদলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর ও ভারতীয় নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তিনি বলেন,

“গুলিতে সাকিব নিহত হয় এবং অপর ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসে।”

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাকিব ও আহত ভারতীয় ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, সীমান্তে কিশোর নিহত ও অন্য একজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সারাদেশ

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে […]

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

নিউজ ডেস্ক

২৯ জুন ২০২৫, ০৯:৩৫

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।

ওই নারী বলেন, টাকা ধার নেওয়া নিয়ে ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পরিবারের পরিচয় ঘটে। এ সূত্র ধরেই ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করে।

মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তারমুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তার
ওই নারীর পাশের বাড়ির এক সদস্য বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। লোকজন গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা। পরে আমরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ঘটনার সময় ফজর আলীকে স্থানীয় লোকজন আটকে মারধর করেন। পরে তাকে কুমিল্লা শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে ফজর আলী পালিয়ে যান। পরে আজ তাকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ফজর আলীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বাদির স্বাস্থ্য পরীক্ষাও শেষ।

এর পরই নারীকে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কুমিল্লা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলী একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন। পরবর্তী সময়ে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

সারাদেশ

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ জুন ২০২৫, ১৯:৪৬

গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এক মর্মান্তিক ঘটনার অবসান হলো রোববার (১ জুন) ভোরে। সেনানিবাসের ওয়ার্কশপ ভবন থেকে সৈনিক এসএম সৌরভ হোসেনের (৩৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌরভ হোসেন ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জ গ্রামের উজির আলী মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। জানা যায়, কিছুদিন আগে বগুড়া সেনানিবাস থেকে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এমপি (এপিসি) স্কট হিসেবে বদলি হয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলায় সর্বস্বান্ত হয়ে মানসিক চাপে ছিলেন সৌরভ। রোববার গোপনে ল্যান্স করপোরাল ইয়াসির আরাফাতের মোবাইল থেকে ১৪ হাজার টাকা বেটিং সাইটে জমা দেন। ইয়াসির আরাফাত বিষয়টি টের পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং লোকজন ডাকাডাকি করলে সৌরভকে শাস্তিস্বরূপ নজরবন্দি রাখা হয়।

ভোরে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মরদেহের পাশে একটি বিশেষ চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে আত্মহত্যার কারণ লিখে গেছেন বলে পুলিশ জানায়। মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

এ ঘটনায় সেনানিবাস ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মহত্যার পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ।