আজ রবিবার দীঘিনালাতে ৭ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিফলেট বিতরণ। দীঘিনালায় জুলাই ঘোষণাপত্রের গুরুত্বসহ ৭ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এ সময় ৭ দফাকে জুলাই ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর প্রতিনিধি টিমের সকল সদস্যবৃন্দ।
লিফলেটে উল্লেখ করা দাবিগুলো:
- —জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
- আহতদের বিনামূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা প্রদানের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করতে হবে
- অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনি ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে
- ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে
- ঘোষণাপত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকতে হবে
- এ ছাড়া ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যোগসূত্র রেখে ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করতে হবে
- নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে
- বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে।
এতে বলা হয়, নিপীড়িত ও মজলুম জনগোষ্ঠীর লড়াই হিসেবে আমরাও জনগণের সামনে একটি ঐতিহাসিক ঘোষণা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি। যেন ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দালিলিক প্রমাণ হিসেবে সুরক্ষিত থাকে।
ঘোষণাপত্র অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতার উৎস এবং পরবর্তী সংবিধানের ভিত্তিমূল উল্লেখ করে বলা হয়, এ ঘোষণাপত্রই হবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতার উৎস এবং পরবর্তী সংবিধানের ভিত্তিমূল।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠকরা স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ও তাদের মাঝে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব তুলে ধরেন।