লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্কের জেরে মহিলা আওয়ামী লীগের এক নেত্রীর হাতে এক বিধবা মারধর ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে হাতীবান্ধা থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। গত রোববার উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ফকিরপাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী নিলুফা বেগম ঘটনার দিন ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাইদুল ইসলামের দোকানে বাজার করতে যান। এ সময় সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে লোকজনের সঙ্গে আলাপ করছিলেন ফকিরপাড়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম। এক পর্যায়ে বাজারে পণ্যের দাম নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উপহাস করেন তিনি। এ সময় নিলুফা প্রতিবাদ করলে আওয়ামী লীগ নেত্রীর সঙ্গে তাঁর বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আঙ্গুয়ারা উত্তেজিত হয়ে নিলুফাকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। পরে স্থানীয়রা নিলুফা বেগকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন বলেন, “আঞ্জুয়ারা বেগম ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। তাঁর সামনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো কথা বললেই তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। সেদিন ওই মহিলাকে ব্যাপক মারধর করেছেন। পরে তিনি ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।”
অভিযোগ প্রসঙ্গে আঙ্গুয়ারা বেগম বলেন, “এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে দেখেন, আমি কেমন। এর বাইরে আমার কিছুই বলার নেই।”
এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একজন নারীকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মহিলা আন্দোলনের কর্মীরাও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এদিকে, ভুক্তভোগী নিলুফা বেগম হাতীবান্ধা থানায় যে মামলা দায়ের করেছেন পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।