মঙ্গরবার দিবাগত রাতে দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের শুভকী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শাহনাজ আক্তার তৃষ্ণা উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের শুভকী গ্রামে চাঁন মিয়ার স্ত্রী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান তোতার মেয়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার শুভকী গ্রামে তার বাড়িতে প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তার ভাগনী জামাই সজীব ঘরের দরজা-জানালা ভালভাবে আটকিয়ে খুমিয়ে পড়ে। রাতের যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা উক্ত বাড়ি-ঘরের দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে ঘরে রাখা আলমারীর তালা ভেঙ্গে আলমারীতে রাখা নগদ ১ লাখ সত্তুর হাজার টাকা এবং ১ ভরি ৫ আনা ওজনের স্বর্ণের গহনা (যার মূল্য অনুমান ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা) নিয়ে যায়।
প্রতিবেশী সামেদা আক্তার, রাশেদা বেগম, নুরুল ইসলাম ,মো. আফজাল হোসেনসহ অনেকেই জানায়, আযান দেওয়ার আধঘন্টা পুর্বে বীর মুক্তিা বদিউজ্জামান তোতার বাড়িতে হাউমাউ করার শব্দ পেয়ে তারা এগিয়ে যান। পরে দেখেন স্টিলের আলমারী ও সুকেচ ভাঙা। ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা আলতাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আরিফ তার খালাতো ভাই। কিছুদিন পুর্বে তার খালাতো ভাই আরিফ ৩ লাখ টাকা ধার করেন। সেই ধারের টাকার জন্য পাওনাদার বাড়িতে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে পাওয়াদার। পাওনাদারের টাকা পরিশোধ করার জন্য তিনি গরু বিক্রি করে ১ লাখ সত্তুর হাজার টাকা নিয়ে এসেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ও মামলার বাদী শাহনাজ আক্তার তৃষ্ণা বলেন, তার ভাই সম্প্রীতি ৩ লাখ টাকা সুদ করেন। সেই টাকার জন্য সুদ কারবারীরা আদালতে মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে তিনি ওই সুদকারবারীকে কিছু টাকা পরিশোদ করেছেন। সাকুল্য টাকা দিতে না পারায় তাদের বাড়িতে ওই সুদ কারবারীরা সাইনবোর্ড লাগায়। ওই টাকা ফেরদ দেওয়ার জন্য আমার খালতো ভাই আক্তার হোসেন গরু বিক্রি টাকা নিয়ে আসছিলো। সেই টাকা ও আমাদের স্বর্ণ অলংকার গুলো চুরি করিয়া নিয়ে যায়। এঘটনায় তিনি দেলদুয়ার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোয়েব খান বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।