সাজেদুল ইসলাম ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ওয়ার্ড কৃষকদলের কমিটি গঠন ও সভাপতির পদকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম মিঞার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কৃষকদলের সভাপতি প্রার্থী ও বিএনপিকর্মী আরিফুল ইসলাম এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযুক্ত আরিফুল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
আহত আব্দুল আলীম মিঞা (৩৫) উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে এবং ফলদা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম একই গ্রামের আনসার আলীর ছেলে এবং কৃষক দলের সভাপতি প্রার্থী।
আহত আব্দুল আলীম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ওয়ার্ড কৃষকদলের কমিটি হওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। কমিটি ও সভাপতির পদ নিয়ে এলাকায় আলোচনা চলছিল। কমিটি নিয়ে সকালে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলি। এসময় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানানো হয়। যারা আওয়ামী লীগের দালালি করেছে যেসব সুবিধাবাদীদের যাতে কোনোভাবেই দলের কোনো পদে না রাখা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়ার্ড কৃষকদলের সভাপতি প্রার্থী আরিফুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে এসে আমার ওপর হামলা করে। এতে মাথা ফেটে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঘটনার পর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম বলেন, বিকেলে কমিটি গঠন হওয়ার কথা ছিল । এর আগে স্থানীয় নেতাকর্মীরা আমাকে কৃষকদলের সভাপতি পদে সম্মতি দেয়। কিন্তু আব্দুল আলীম সেটা চায় না। পরে আলীম আমার বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে বাড়িঘর ভেঙে এলাকা থেকে বিতাড়িত করার কথা বলে। একপর্যায়ে আলীম মোটরসাইকেল থেকে নেমে আমার ওপর হামলা করে। আমিও হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে বাড়ি আঘাত করি। এসময় আলীমের লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির গেট, দরজা ভাঙচুর এবং স্ত্রীকে মারধর করে।
ফলদা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ইসহাক সরকার বলেন, কৃষক দলের সভাপতি প্রার্থী আরিফুল আওয়ামী লীগ করতো। বর্তমানে সে কৃষকদলের সভাপতির পদ চায়।
উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক নাজমুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হবে। কমিটি গঠনের তারিখ পেছানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, এ ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?