শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

২০২৪ সালে মেহেরপুরের আলোচিত ঘটনা

মজনুর রহান আকাশ, মেহেরপুর ২০২৪ সালে মেহেরপুরে সরকার পতন ও আওয়ামীলীগ নেতাদের আত্মগোপন ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ছাড়াও বেশ কয়েকটি আলোচিত ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে আওয়ামীলীগের সাবেক মন্ত্রী ও গাংনীর সাবেক এমপি ডা. সাগরকে মনোনয়ন দেয়া, অনলাইন জুয়া, বোমা রেখে প্রাণ নাশের হুমকী, আদালত ভবন থেকে স্ত্রীকে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা, সড়ক ডাকাতি ও সার সংকটের […]

নিউজ ডেস্ক

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:১৬

মজনুর রহান আকাশ, মেহেরপুর

২০২৪ সালে মেহেরপুরে সরকার পতন ও আওয়ামীলীগ নেতাদের আত্মগোপন ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ছাড়াও বেশ কয়েকটি আলোচিত ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে আওয়ামীলীগের সাবেক মন্ত্রী ও গাংনীর সাবেক এমপি
ডা. সাগরকে মনোনয়ন দেয়া, অনলাইন জুয়া, বোমা রেখে প্রাণ নাশের হুমকী, আদালত ভবন থেকে স্ত্রীকে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা, সড়ক ডাকাতি ও সার সংকটের বিষয়টি ছিল অন্যতম। গোটা বছর জুড়ে এসকল
ঘটনা ছিল আলোচনায়। তবে কয়েকটি ঘটনা তদন্ত ও তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ায় প্রশাসনও বেশ সুনাম কুড়িয়েছে।

গেল বছর জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ আলোনা সমালোচনা দেখা দেয়। দলীয় করণ ও পারিবারিকতন্ত্র ঘোষনা করার কারনে তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে দলীয় লোকজন
তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেন। এদিকে গাংনী নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিকভাবে এলাকায় পরিচিতি না থাকলে হঠাত অতিথী পাখি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ডা. সাগর। আওয়ামীলীগের সকলেই
এ দুইজনের মনোনয়নে বিরোধিতা করলেও সকলকে হতাশ করে কেন্দ্র এদেরকেই মনোনয়ন দেয়। বিষয়টি কেও ভাল চোখে দেখেননি।

বছরের প্রথমে আলোচিত ঘটনা ঘটে মেহেরপুর আদালতে। ১৫ জানুয়ারী স্ত্রী সীমা খাতুনের দায়ের করা যৌতুক মামলায় হাজিরা দিতে এসে স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে আদালতের তিনতলা ভবন থেকে ফেলে দেয়ার সময়
সীমা স্বামী মামুনর রশীদকে জাপটে ধরে দুজনই নিচে পড়ে আহত হন। মামুনর রশীদ গাংনীর সহড়াতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

গেল বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই গাংনীতে আলোচনায় আসে বোমা রেখে প্রাণ নাশের হুমকী ও বোমা বিষ্ফোরণ। বেশ কয়েকটি স্থানে বোমা রেখে ব্যবসায়ি ও প্রবাসীর কাছে চাঁদা চাওয়া হয়। এক
রকম আতংকিত হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। তবে বোমার উৎস্য ও বোমা বাজদের আজো আটক করতে পারেনি পুলিশ।

কৃষি ক্ষেত্রে আলোচনায় ছিল সার সংকট। চাষিরা সার না পেয়ে বিক্ষোভ মানব বন্ধন করেন। তবে সার সংকটের কোন সমাধান হয়নি। তামাক কোম্পানী তামাক চাষিদের অন্যান্য বছর সার সরবরাহ করতো। চলতি
বছরে সার না দেয়ায় চাষিরা খাদ্য পন্য উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত সার তামাক আবাদে ব্যবহার করায় এ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

গত ৩ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর মেহেরপুর- কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দুই দিনে যাত্রিবাহী বাস ট্রাক অ্যাম্বুলেন্স ও লোকাল পরিবহনে দীর্ঘ সময় ধরে ডাকাতির ঘটনায় অনেকেই
স্বর্বস্ব হারিয়েছে। আহত হয়েছেন পরিবহনের চালক ও তার সহকারী। এতে রাতে সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর এলাকা থেকে ৪ ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার করা
হয় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও পোশাক।

১২ অক্টোবর জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গাংনীর ষানঘাট গ্রামের ওহিদুল ইসলাম মহিবুল তার বোন জোসনা খাতুন ও বড়ভাবী স্কুল শিক্ষক জাকিয়া খাতুন এলমাকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে।
ওই দিনই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ঘটনার দিন সকালে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে ভাই বোন সালিশ বৈঠকে বসেন। এসময় রাগান্বিত হয়ে ওহিদুল ইসলাম মহিবুল এ
খুনের টনা ঘটায়।

বাজারদরের বিষয়টিও ছিল বেশ আলোচনায়। সবজিসহ সকল পন্যের দাম ছিল সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে। বাজার নিয়ন্ত্রণে তেমন কোন পদক্ষেপ না থাকায় কৃত্রিম সংকটের অজুহাতে ব্যবসায়িরা সকল
পন্যের দাম বৃদ্ধি করে। সে সময় প্রশাসন বাজার দর নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানালেও অজ্ঞাত কারনে তা করেন নি।

অপর একটি আলোচনা ছিল গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফোরলেন বাস্তবায়ন। জেলা পরিষদ থেকে লীজ নেয়া যাত্রী ছাউনিতে ফলের দোকান করেন মেসার্স মালেক স্টোর। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না সরিয়ে
সরকারের নামে মামলা করায় ফোরলেন বাস্তবায়ন থমকে যায়। এনিয়ে মানব বন্ধন ও মিছিল মিটিং করেন স্থানীয় জনগন। পরে মালেক স্টোর স্থানান্তর হলেও আরেক ফল ব্যবসায়িকে হঠাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষ। ফলে ফোরলেন বাস্তবায়ন এখনও সংকটে।

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ভারতীয় গুলিবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৬:১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৪ মে) রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সাকিব (১৮)। তিনি কসবায় নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, রাতে বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই সময় এক অজ্ঞাতনামা ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম জানান, মাদলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর ও ভারতীয় নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তিনি বলেন,

“গুলিতে সাকিব নিহত হয় এবং অপর ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসে।”

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাকিব ও আহত ভারতীয় ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, সীমান্তে কিশোর নিহত ও অন্য একজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সারাদেশ

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে […]

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

নিউজ ডেস্ক

২৯ জুন ২০২৫, ০৯:৩৫

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।

ওই নারী বলেন, টাকা ধার নেওয়া নিয়ে ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পরিবারের পরিচয় ঘটে। এ সূত্র ধরেই ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করে।

মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তারমুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তার
ওই নারীর পাশের বাড়ির এক সদস্য বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। লোকজন গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা। পরে আমরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ঘটনার সময় ফজর আলীকে স্থানীয় লোকজন আটকে মারধর করেন। পরে তাকে কুমিল্লা শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে ফজর আলী পালিয়ে যান। পরে আজ তাকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ফজর আলীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বাদির স্বাস্থ্য পরীক্ষাও শেষ।

এর পরই নারীকে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কুমিল্লা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলী একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন। পরবর্তী সময়ে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

সারাদেশ

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ জুন ২০২৫, ১৯:৪৬

গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এক মর্মান্তিক ঘটনার অবসান হলো রোববার (১ জুন) ভোরে। সেনানিবাসের ওয়ার্কশপ ভবন থেকে সৈনিক এসএম সৌরভ হোসেনের (৩৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌরভ হোসেন ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জ গ্রামের উজির আলী মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। জানা যায়, কিছুদিন আগে বগুড়া সেনানিবাস থেকে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এমপি (এপিসি) স্কট হিসেবে বদলি হয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলায় সর্বস্বান্ত হয়ে মানসিক চাপে ছিলেন সৌরভ। রোববার গোপনে ল্যান্স করপোরাল ইয়াসির আরাফাতের মোবাইল থেকে ১৪ হাজার টাকা বেটিং সাইটে জমা দেন। ইয়াসির আরাফাত বিষয়টি টের পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং লোকজন ডাকাডাকি করলে সৌরভকে শাস্তিস্বরূপ নজরবন্দি রাখা হয়।

ভোরে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মরদেহের পাশে একটি বিশেষ চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে আত্মহত্যার কারণ লিখে গেছেন বলে পুলিশ জানায়। মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

এ ঘটনায় সেনানিবাস ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মহত্যার পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ।